ঘর পেতে পথ দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী


সোমবার,২৩/০২/২০১৫
873

খায়রুল আনাম, বোলপুর, বীরভূমঃ মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথ ধরেই এবার রামপুরহাট পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়াডের যে সব বাসিন্দারা রেলের জমিতে দীর্ঘদিন ধরে ঘর করে বসবাস করছেন, তাদের জন্য স্থায়ী বাসস্থানের দাবী জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রামপুরহাট পুরসভার কাছে স্মারকলিপি জমা দিলো জাতীয় কংগ্রেস।
বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রামপুরহাট এলে পুরসভার ১০ নম্বর ওয়াডের ধুলাডাঙ্গা – মালিবাগানের বস্তিবাসীরা মুখ্যমন্ত্রীর পথ আগলে তাঁর কাছে স্থায়ী বাসস্থানের দাবী জানায়। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের স্থায়ী বাসস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ১০ ফেব্রুয়ারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক বৈঠক করতে পুনরায় এলেন রামপুরহাটে। সে সময় ধুলাডাঙ্গার বস্তিবাসীরা মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতো তাঁরা স্থায়ী ঘর না পাওয়ার বিষয়ে তাঁ দৃষ্টি আকর্ষণের জন মুখ্যমন্ত্রীর পথ আগলে বিক্ষোভ দেখাবার কর্মসূচী নেয়। জেলা প্রশাসনের কানে সেই খবর পৌঁছানো মাত্রই প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর রামপুরহাট সফর কালে ধুলাডাঙ্গা – মালিবাগান বস্তি এলাকার সমস্ত রাস্তা বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। যাতে কেউ মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়ার পথে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে না পারে। পরে অবশ্য ধুলাডাঙ্গা – মালিবাগান বস্তিবাসীদের বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর কানে পৌঁছায়। তিনি তাঁর পুরনো প্রতিশ্রুতি পূরণের পথ খুঁজে পেতে এবং বস্তিবাসীদের ক্ষোভ প্রশমিত করতে রামপুরহাট পুরসভার দলীয় পুরপ্রধান অশ্বিনী তিওয়ারিকে নির্দেশ দেন। এরপরই পুরসভার পক্ষ থেকে পৌরপতি অশ্বিনী তিওয়ারি জানান, ধুলাডাঙ্গা রোড-সহ ১০ নম্বর ওয়াডের মালিবাগান এলাকার বস্তিবাসী ২৭২ টি পরিবারের জন্য আপাতত রামপুরহাট গান্ধী পার্ক এলাকায় ১৭ টি ফ্ল্যাট তৈরী করা হবে। এক একটি ফ্ল্যাটে ১৬ টি করে পরিবারকে স্থান দিয়ে ওই ২৭২ টি বস্তিবাসী পরিবারকে সেখানে পুনর্বাসন দেওয়া হবে। আর এই বিষয়টিক সামনে রেখেই জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রামপুরহাট পুরসভার পৌরপতির কাছে স্মারকলিপি দিয়ে দাবী জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যদি ধুলাডাঙ্গা – মালিবাগান বস্তিবাসীরা ঘর পেতে পারেন তা’হলে, যে সব মানুষজন রামপুরহাট পুরসভা এলাকার ১৪ নম্বর ওয়াডে রেলের জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন, তারা কেন ধুলাডাঙ্গা – মালিবাগান বস্তিবাসীদের মতো স্থায়ী ঘর পাবেন না।

Affiliate Link Earn Money from IndiaMART Affiliate

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট