খায়রুল আনাম, বোলপুর, বীরভূমঃ পুলিশ প্রশাসন এবং বোলপুর পুরসভাকে বার বার জানিয়েও সমস্যার কোনও সুরাহা না হওয়ায় ১৯ ফেব্রুয়ারী মাদকের ঠেক ভাঙার দায়ীত্ব নিজেদের হাতে তুলে নিলো বোলপুর – লায়েকবাজারের প্রমীলা বাহিনী। বোলপুরের লায়েকবাজার এলাকাটি এমন একটি ভৌগোলিক অবস্থানের মধ্যে রয়েছে যাতে, এই এলাকাটির দায়ীত্ব নিয়ে নানান সংশয় তৈরী হয় হামেশাই। একদিকে বোলপুর পুরসভা এলাকা আর তার পাশ বরাবর সিয়ান – মুলুক গ্রাম পঞ্চায়েত ও কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। আর এই জায়গাটিকে ঘিরেই তৈরী হয়েছে মাদকের অবাধ কারবার। ভিনজেলা থেকে যে সব মাদক কারবারীর এসে বোলপুর শহর -সহ আশপাশের এলাকায় মাদক সরবরাহ করে থাকে, তাদের অন্যতম ‘ ঠেক ‘ হয়ে উঠেছে এই লায়েকবাজার। বড় প্যাকেটে মাদক এনে এখানে তা ‘ পুড়িয়া ‘ করে ছড়িয়ে দেওয়া হয় বোলপুর শহর সহ আশপাশের এলাকায়। শুখনো মাদকের রমরমার সাথে এখানে রয়েছে তরল মাদকেরও ঠেক ও ভাটিখানা। আর এসবকে কেন্দ্র করেই এলাকায় অসামাজিক কাজকর্ম থেকে শুরু করে চুরি – ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেই চলেছে। এলাকায় কয়েকজন ‘ রহস্যময়ী রমণী’র আনাগোনাও অনেকের চোখ এড়ায় না। এসব বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কোন ফ না মেলার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন লায়েকবাজারের শতাধিক মহিলা লাঠি – ঝাঁটা হাতে নেমে পড়েন মাদকর ঠেক ভাঙার অভিযানে। খবর পেয়ে বোলপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে মহিলাদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাদের। এলাকার মহিলারা অভিযোগ তুলে বলেন, পুলিশ প্রশাসনকে মাদক কারবারীদের বিষয়ে অবহিত করা সত্ত্বেও এতদিন তাদের দেখা মেলেনা। আজ তারা বাদ্য হয়ে মাদকের সেইসব ‘ ঠেক ‘ ভাঙার কাজ শুরু করতেই কি ভাবে পুলিশের আগমণ ঘটলো ? পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মহিলারা। তারপর পুলিশের উপস্থিতিতেই প্রমীলা বাহিনী ভেঙে দেয় একের পর এক মাদকের ‘ ঠেক ‘ । আর প্রমীলা বাহিনীর সেই রণংদেহী রূপ দেখে আপাততঃ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় মাদককারবারীরা।
মাদকের ঠেক ভাঙলো প্রমীলা বাহিনী
মঙ্গলবার,২৪/০২/২০১৫
616
Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code: