রথীন কুমার ঘোষঃ তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১ জুলাই শহীদ দিবসে স্মরণ করে তাঁর বক্তব্য রাখেন এই অনুষ্ঠানে। তিনি চার বছরে কী কী বাংলার উন্নয়ণ করেছেন তার খতিয়ান তুলে ধরেন। জঙ্গলমহলে ২টাকা দামে চাল দেওয়া হচ্ছে, এবার থেকে প্রতিটি জেলাতে চাল দেওয়া হবে। বিজেপির নাম না করে বললেন খুনের বদলে খুন নয়, মারের বদলে মার নয়। দলের নেতাদের উদ্দেশ্য জানালেন সর্বদা মানুষের পাশে থাকবেন। আমরা আসার পর রাজ্যতে অনেক উন্নয়ন করেছি, নাম না করে বামের বলেন লড়তে হলে লড়ুন সংবিধান মেনে। আমরা আরও বিশ্ববিদ্যালয় গড়বো, স্কুল করবো, কিন্তু দিয়ে করবো বামেরা ঋণ করে গেছেন সেই গুলো আমাদের ৭২ হাজার কোটি চলে যায় ঋণ শোধ করতে। বাংলা ভাগ হতে দেব না, দাঙ্গা করতে দেব না। তৃণমূল করে গরিব মানুষেরা, দলে যারা মুখ দেখাতে ভালোবাসেন আমি তাদের পছন্দ করি না। দলে যারা ক্ষমতা চায় আমি তাদের চাই না। আমি তাদের ২ মাস সময় দিলাম। আমরা ন্যায্য মূল্যে ওষুধ দিচ্ছি। বিপিএলে কোন গরিবকে বাদ দেবেন না, সংখ্যালঘুদের স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে। সবাই ডিজিটাল রেশন কার্ড করবেন। আবার দলের নেতাদের বললেন মুখ দেখিয়ে রাজনীতি আমি পছন্দ করি না। বাংলায় তিনটি দল রাজনৈতিক হিংসায় মেতেছেন। কংগ্রেস ও বিজেপি -কে বলছি আদর্শ রাজনীতি করুন। ফাঁকা আওয়াজ নয়। আমরা স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নতি করেছি, নির্মল বাংলা স্বচ্ছতার পথ দেখিয়েছে। রাজ্যর সর্বনাশ করে গিয়েছে সিপিএম, সবার গলায় বেড়ালের ঘন্টা পড়াবো। তৃণমূল কাউকে ভয় পায়না। সিপিএম অত্যাচারি দল, শুধু ফাঁকা আওয়াজ ওদের। তৃণমূল দলকে আরও ভালোবাসতে হবে, মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। কর্মীদের বললেন ব্যক্তিগত স্বার্থ নিয়ে দল করবেন না। আমরা কারোর কাছে মাথা নোয়াব না, কারও দয়া চাই না। আমি বাংলার উন্নতির জন্য ১৮ ঘন্টা কাজ করি, যাতে বাংলা এগিয়ে যায়। রাজ্যে যারা সাম্প্রদায়িক ছড়াচ্ছে তাদের সমর্থন নয়। পুজোর পর জেলায় জেলায় কর্মী সভা করা হবে। হ – য – ব – র – ল সরকার চলবে না। যাদের খাদানের টাকা দরকার, তাদের তৃণমূল করতে হবে না। আমি নতুন জেনারেশনদের বলছি, সবাইকে সম্মান দিতে হবে। দলে বিসৃঙ্খলা চলবে না, আমি বরদাস্ত করবো না। বিরোধী দল ভাবছে আমি না থাকলে দলের কি হবে, অনেক মমতা তৈরী হচ্ছে। শিক্ষক – শিক্ষিকাদের সম্মান দিতে হবে, আমার সামনে যখন কোন বড় কেও থাকে আমি উঠে তাঁকে বসতে বলি এটাই বাংলার রীতিনীতি। ২০১৬ -তে আমরা একা লড়ব, রেকর্ড করবো। আমাদের যত চ্যালেঞ্জ করবে, তত ভোট কমবে। আপনারা কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে আবার এনেছেন কলকাতা বাসীদের ধন্যবাদ। এই শহীদ সভাতে খাদ্য আন্দোলনে নুরুলের মা এসেছেন, সব শহীদের পরিবারের লোকেরা এখানে আছেন। আল্লা সবাইকে ভালো রাখো মা সবাইকে ভালো রাখো। সিপিএম রসগোল্লা খেল, আর মানুষকে দিল গোল্লা। বাংলাকে ঝাঁঝড়া করে দিয়েছে। আজকে আকাশ মা – মাটি – মানুষকে রক্ষা করলো। সিপিএম – কংগ্রেস – বিজেপি হ – য – ব – র – ল। ( ছবিঃ পর্ণা সাহা )।
Auto Amazon Links: No products found.