ধর্ষকের ফাঁসির দাবীতে পথে নামল রায়গঞ্জের বামুহা গ্রামের বাসিন্দারা


মঙ্গলবার,২১/০৭/২০১৫
692

 বিকাশ সাহাঃ   ধর্ষকের ফাঁসির দাবীতে এদিন মঙ্গলবার পথে নামল গ্রামবাসীরা। বামুহা হাই স্কুলের ছাত্রী ধর্ষিতা হওয়ার পর খুন হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন ছাত্রীর সহপাঠী থেকে শুরু করে স্কুলের অভিভাবক ও গ্রামবাসীরা গ্রামের মধ্যে ধিক্কার মিছিল বের করে। খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সামেদ আলির সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত থাকলে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী ওঠে মিছিলে। রায়গঞ্জের বামুহা গ্রামে শনিবার কুলিক নদীর ধারে পাটখেতে ধর্ষণ করে খুন হয়েছে গ্রামের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ইসমাতুন খাতুন। নারকীয় তাণ্ডব ও অত্যাচারের পর ছাত্রী খুন মানতে পাড়ছেন না গ্রামবাসীরা।
উল্লেখ্য, শনিবার দিন সকালে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানার অন্তর্গত সেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন বামুহা গ্রামের বাসিন্দা ১৪ বছর বয়সী ইসমাতুন মাঠে গরু বাঁধতে গিয়েছিল। মাঠে গরু বেঁধে ফেরার সময় সামেদ আলি নামে প্রতিবেশী এক যুবক ইসমাতুনের পথ আটকায়। সামেদের পাটক্ষেতে লেবারদের খাবার দিয়ে যাওয়ার জন্য ইসমাতুনকে চাপ দেয় সামেদ। কিন্তু ইসমাতুন পাটেরক্ষেতে খাবার দিতে যেতে অস্বীকার করে। এরপরথেকেই ইসমাতুনকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পুলিশে অভিযোগ জানানো সর্তেও পুলিশ কোনও কাজ করছে না, এমন অভিযোগ এনে শনিবার রাতে গ্রামবাসীরা সামেদকে গ্রামের মধ্যেই আটক করে রাখে। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হলে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ডি এস পি নারায়ণ চন্দ্র মজুমদার, রায়গঞ্জ থানার আইসি গৌতম চক্রবর্তী সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোব দেখাতে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ সামেদ কে গ্রেপ্তার করলে উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হয়। রবিবার সকালে রায়গঞ্জের কুলিক ব্রিজের নিচে একটি লাশ ভাসতে দেখেন প্রাতঃভ্রমণকারীরা। তাঁরা পুলিশে খবর দিলে কুলিক নদী থেকে পেছন দিকে হাত বাঁধা অবস্থায় ইসমাতুন খাতুনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।RSCN7246

Affiliate Link কলকাতার খবর | Kolkata News
Affiliate Link Earn Money from IndiaMART Affiliate

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট