খবরইন্কাডিয়াঅনলাইনঃ গজে পেয়িংগেস্টের বিজ্ঞাপন দেখে উঠেছিলেন কলকাতার একটি বাড়িতে। ফাঁদে পড়লেন নারী পাচারচক্রের। দিনের পর দিন মদ খাইয়ে প্রায় বেঁহুশ করে চলত যৌন নির্যাতন।
শেষমেষ এক সহৃদয় চিকিৎসক পাশে দাঁড়ান নির্যাতিতার। গ্রেপ্তার হয় নারী পাচার চক্রের মূল পান্ডা রুপসা ও তার সাঙ্গপাঙ্গ।
ঘটনার শুরু যেভাবে, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা। পারিবারিক অশান্তির জেরে স্বামীর ঘর ছেড়ে অন্যত্র থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। স্বাধীনভাবে বাঁচার তাগিদে খুঁজছিলেন একটি আশ্রয়।
তখনই কাগজে দেখতে পান পেয়িং গেস্টের বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপন দেখে হাজির হন কলকাতার একটি বাড়িতে। কিন্তু সেখানেই ফাঁদ পেতে ছিল বিপদ। টানা সাতদিন ঘরবন্দি। সঙ্গে শারীরিক অত্যাচার, মারধর। মহিলা তখন বুঝতে পেরে গেছেন বাড়ি মালকিনের আসল ফন্দি।
চারদিকটা বড়ই অন্ধকার। কোথায় যাবেন? প্রশাসনের হোমড়া-চোমড়া কর্তাদের একাংশের যে অবাধ আনাগোনা এখানে। তাই নীরবে মুখ বুজে সব অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে দিনের পর দিন।
ইঞ্জেকশন দিয়ে শরীরে ঢুকছে কড়া মাদক। ব্যাঘাত ঘটছিল কাস্টমার সার্ভিসিংয়ে। তাই চক্রের পান্ডাই একদিন নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য। সেখানকারই এক চিকিৎসক পাশে দাঁড়ালেন নির্যাতিতার।
এরপরই লালবাজার হয়ে যোগাযোগ করা হয় সোনারপুর থানা ও যাদবপুর থানার সঙ্গে। গোপন ডেরায় হানা দেয় পুলিশ। গ্রেপ্তার হয় নারী পাচার চক্রের মূল পান্ডা রুপসা ওরফে রূপা ও তার সাঙ্গ পাঙ্গরা।
আগামী ৯ আগস্ট পর্যন্ত গ্রেপ্তার কৃতদের জেলা হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত।
Auto Amazon Links: No products found.