শ্যামা পূজার আগে জবা ফুলের মালা তৈরিতে ব্যস্ত রায়গঞ্জের হস্তশিল্পীরা


শুক্রবার,৩০/১০/২০১৫
684

বিকাশ সাহাঃ    হাতে গোনা আর মাত্র কটা দিন, তাঁর পড়েই বাঙ্গালী মেতে উঠবেন শ্যামা পূজার আনন্দে। শ্যামা মার গলায় লাল জবা ফুলের মালা তুলে দিতে বাড়ির কর্তা থেকে ক্লাব কর্তারা হিমশিম খেয়ে যান। কারণ উত্তর দিনাজপুর জেলার গ্রাম ও শহর এলাকায় কিছু লোকের বাড়িতে জবা ফুলের গাছ থাকলেও সেই জবা ফুল দিয়ে শ্যামা মায়ের পূজো করা সম্ভব হলেও মালা তৈরি করে মাকে পড়ানো সম্ভব হয় না। আবার এই জেলায় তেমন কোন চাষীও নেই যে সারা বছর জবা ফুলের চাষ করেন। তাই পূজোর সময় শ্যামা মায়ের গলায় লাল জবা ফুলের মালা পড়াতে ক্লাব কর্তাদের প্রথম পছন্দ প্লাস্টিকের জবা ফুলের মালা। আর তাই পূজোর আগেই রাত দিন জেগে প্লাস্টিকের লাল জবা ফুলের মালা তৈরি করছেন রায়গঞ্জ শহর লাগোয়া সুভাষগঞ্জ এলাকার পাল পাড়ার হস্তশিল্পীরা। তাঁরা গোটা বছর ধরেই নানা রঙের প্লাস্টিক দিয়ে চোখলতা, পাচফুল, রজনিলতা ও জবা ফুলের মালা তৈরি করেন। কিন্তু দুর্গা পুজোর আগে থেকে বিভিন্ন রঙের মালা তৈরি করলেও কালি পুজোর আগে লাল জবা ফুলের মালা তৈরিতে তাঁরা বেশি ব্যাস্ত হয়ে পড়েন । বাড়তি রোজগারের আশায় ছোট থেকে বড়ো সবাই ফুলের মালা তৈরিতে হাত লাগান।
হস্ত শিল্পীরা জানান, বর্তমানে প্লাস্টিক ফুলের মালা তৈরি করে ন্যায্য পারিশ্রমিক পাওয়া যাচ্ছেনা। তবুও আবেগের টানে বাপ ঠাকুরদার এই শিল্পকে আঁকড়ে ধরে আছি। দূর মুল্যের বাজারে এই শিল্পের সাথে সাথে অন্য পেশাতে যুক্ত না থাকলে না খেতে পেয়ে মরতে হবে।
ফুলের মালা তৈরির কারিগর উমা শঙ্কর মালাকার বলেন, বাপ ঠাকুরদার হাত ধরে ফুলের মালা তৈরির পেশায় যুক্ত হলেও পূজোর সময় ছাড়া গোটা বছর প্লাস্টিকের ফুলের চাহিদা প্রায় নেই বললেই চলে। ফলে এই পেশার সাথে যুক্ত থাকার পাশাপাশি অন্য পেশাকে আঁকড়ে ধরতে হয়। যদিও পূজোর দিন গুলিতে প্লাস্টিকের ফুলের মালার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায়, বিশেষ করে কালি পূজোর আগে তো লাল জবা ফুলের মালা তৈরি হরতে হিমশিম খেতে হয়। ফলে মালা তৈরি করতে পূজোর আগে বাড়তি উপার্জনের আশায় গ্রামের মহিলারা মালা তৈরির কাজে হাত লাগান। সেই সঙ্গে বাদ যায়না বাড়ির কচিকাঁচারাও। তারাও বড়দের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে মনের আনন্দে প্লাস্টিকের ফুলের মালা তৈরি করে। এই জবা ফুলের মালা জেলার পাশাপাশি মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর, দার্জিলিং জেলা ও ভিনরাজ্য বিহারে ব্যপক চাহিদা রয়েছে । ফলে খুচরোর সাথে সাথে পাইকারী দরে লাল জবা ফুলের মালা বিক্রি করা হয়। প্রতি বছর ১০ হাজার লাল জবা ফুলের মালা তৈরি করা হয়।DSCN8170

Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট