সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী জামিন পেলেন


রবিবার,২০/১২/২০১৫
482

খবরইন্ডিয়াঅনলাইনঃ     হেরাল্ড পত্রিকার সম্পত্তি ​বেআইনিভাবে অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন কংগ্রেসের ​সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও ​তাঁর ছেলে রাহুল গান্ধী। দিল্লির পাতিয়ালা হাউস আদালতে আজ শনিবার তাঁরা হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন।

Affiliate Link কলকাতার খবর | Kolkata News

বিবাদী পক্ষের আইনজীবী আর ​এস চিমা আদালত কক্ষে সাংবাদিকদের বলেন, মামলার কার্যক্রম শুরুর ২০ মিনিটের মধ্যে বিচারক ৫০ হাজার টাকা  মুচলেকায় ব্যক্তিগত জিম্মায় তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আদালত এ মামলার শুনানি মুলতবি করেছেন।

সুব্রহ্মণ্যম স্বামী ২০১২ সালের ১ নভেম্বর দিল্লির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে যখন এই মামলা দায়ের করেন, তখন তিনি জনতা পার্টির সভাপতি। পরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর দায়ের করা এই মামলায় সোনিয়া-রাহুলদের জামিনের আরজি দিল্লি হাইকোর্ট খারিজ করার পর কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণতার’ অভিযোগ তোলা হয়েছিল।

দেশ ও দলের জন্য একটা খবরের কাগজ প্রকাশের কথা প্রথম ভেবেছিলেন জওহরলাল নেহরু ১৯৩৭ সালের সাধারণ নির্বাচন জেতার পর। পরের বছরেই ইংরেজি ভাষায় ন্যাশনাল হেরাল্ড ও উর্দু ভাষায় কৌমি আজাদ প্রকাশিত হয়। অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (এজেএল) নামে এক কোম্পানি খোলা হয়, যার শেয়ারহোল্ডার ছিলেন ৭৬১ জন কংগ্রেস নেতা। নেহরু হন ন্যাশনাল হেরাল্ড-এর প্রথম সম্পাদক। এত দ্রুত কাগজটি জনপ্রিয় হয়ে যায় যে ১৯৪২ সালের ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের সময় ব্রিটিশ সরকার তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত সেই নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌ থেকে যাত্রা শুরু করে ন্যাশনাল হেরাল্ড দিল্লিসহ বিভিন্ন স্থানে অফিস স্থাপন করে। এজেএলের সেই সব সম্পত্তির বর্তমান বাজারমূল্য, স্বামীর মতে, পাঁচ হাজার কোটি টাকা।

ন্যাশনাল হেরাল্ড-এর পুনরুজ্জীবনে কংগ্রেস ৯০ কোটি রুপি ঋণ দিয়েছিল বিনা সুদে। কিন্তু তাতেও কাগজকে বাঁচানো যায়নি। ২০০৮ সালে সোনিয়া গান্ধী কাগজটিকে একেবারেই বন্ধ করে দেন। ইতিমধ্যে কংগ্রেস ইয়ং ইন্ডিয়ান (ওয়াইআই) নামে অন্য একটি কোম্পানি খোলে, যার শেয়ারহোল্ডাররা এজেএলে যাঁরা ছিলেন তাঁরাই।

জরুরি অবস্থায় বাড়াবাড়ি রকমের মানবাধিকার খর্ব করার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে জনতা পার্টি ১৯৭৭ সালে ক্ষমতায় এসে শাহ কমিশন গঠন করেছিল। ইন্দিরা গান্ধী ও তাঁর পুত্র সঞ্জয়কে সেই কমিশনে হাজিরা দিতে হয়েছিল। ৩৭ বছর পর ইন্দিরার পুত্রবধূ সোনিয়াকেও সপুত্র আদালতে হাজিরা দিতে হল।

 

Affiliate Link Earn Money from IndiaMART Affiliate

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট