পিকনিক পার্টির উচ্ছিষ্ট খেয়ে পিকনিকের আনন্দে মাতলো শিশুরা ঃ কালিয়াগঞ্জ


শুক্রবার,২৫/১২/২০১৫
712

বিকাশ সাহাঃ    ২৫শে ডিসেম্বর বড় দিনে পিকনিকের উৎসবে মাতলো কালিয়াগঞ্জ বোঁচাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ধামঝা ফরেস্টের পার্শ্ববর্তী এলাকার শিশুরা। কিন্তু এই সকল হত দরিদ্র শিশুদের উৎসব একটু অন্য ধরণের। ক্ষিধার তাগিদে এরা পিকনিকের উৎসবে মাতে ধামঝা ফরেস্টে পিকনিক করতে আসা পিকনিক পার্টির উচ্ছিষ্ট খেয়ে। ধামঝা ফরেস্টে ১০ থেকে ১৫টা দল পিকনিকে মেতে উঠেছে এদিন শুক্রবার সকাল থেকেই। এখানে নেই পানীয় জলের সুবন্দোবস্ত। ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের বিল্ডিং এর ভেতরে রয়েছে একটি টিউবওয়েল। সেই টিউবওয়েল থেকে পানীয় জল বালতি করে পিকনিক পার্টির প্রয়োজনীয় জলের যোগান দিচ্ছে এলাকার ৯ থেকে ১৩ বছর বয়সী শিশুরা। টাকার বিনিময়ে পিকনিক পার্টিকে জলের ব্যবস্থা করে দেওয়া ছাড়াও তাঁদের বেঁচে যাওয়া খাবার ও এঁটো খাবারের জন্য এদিন সকাল থেকেই অধীর আগ্রহে ফরেস্টে ঘুরাঘুরি করছে নিত্য পাশয়ান, বিশ্বজিত সিং, সঞ্জিত নুয়িয়ার মত ৯ থেকে ১৩ বছর বয়সী শিশুরা।
দক্ষিণ ভবানিপুর গ্রাম সহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের দিনমজুর, কৃষি লেবার, ভান চালকের শিশুরা তাদের বাড়ির অজান্তেই হয়তো নিজেদের খুদা মেতাতে পিকনিক পার্টির ফাইফরমাশ খাটছে সামান্য টাকা ও একটু খাবারের তাদিগে। ২৫শে ডিসেম্বর বড় দিন থেকে জানুয়ারী মাসের দিন গুলিতে হাজার হাজার টাকা খরচ করে মদ মাংশের উৎসবে ফরেস্ট গুলি যখন মেতে ওঠে সেই সময় এই সকল হত দরিদ্র পড়িবারের শিশুরা সামান্য ভাতের জন্য পিকনিক পার্টির উচ্ছিষ্ট পর্যন্ত খেতে দ্বিধাবোধ করেনা।
স্থানীয় ফতেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র নিত্য, সঞ্জিত, বিশ্বজিতরা জানায়, পিকনিক পার্টিদের জল এনে দেওয়ার পাশাপাশি এঁটো বাসনপত্র ধুয়ে দিয়ে আমরা পিকনিকের দিন গুলিতে কিছু টাকা উপার্জন করতে পাড়ি। সেই সঙ্গে পিকনিক পার্টির লোকজনরা তাঁদের বেঁচে যাওয়া খাবার আমাদের দেয়। সেগুলি আমরা সবাই ভাগ করে খাই।DSCN8170

Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট