সুস্মিতা: মহানগরীর দূষিত পরিবেশ থেকে একটু স্বস্তির নিশ্বাস পাওয়ার অন্যতম সেরা ঠিকানা হিসেবে অনেকেই বেছে নেন রাজারহাটের ইকো পার্ক। সম্প্রতি দিনের পাশাপাশি প্রাতঃভ্রমনকারী দের জন্য ও পার্ক টিকে খুলে দেওয়া হয় হিডকোর তরফ থেকে। হিডকোর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই প্রথম দেশের এত বড় কোনো পার্ক প্রাতঃভ্রমনকারী দের জন্য খুলে দেওয়া হলো। দীর্ঘ দিনের দাবি এবার পূরণ হল রাজারহাট-নিউটাউনবাসী বৃন্দের। তবে হিডকোর তরফ থেকে এ ও জানান হয়েছে যে সকালে এটিকে খুলে দেওয়া হলেও প্রাথমিক কিছু শর্ত থাকবে সেখানে। প্রাতঃভ্রমননের জন্য তাদের নিয়ম মাফিক নির্দিষ্ট জায়গায় রেজিস্ট্রেশন করতে হবে, প্রতি মাসে ৭৫০/- ও বছরে ৮২৫০/- জমা দিতে হবে।
অবশ্য গাড়ি রাখার জন্য সে ক্ষেত্রে আলাদা কোন টাকা দিতে হবে না। পার্ক কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রথম পর্যায়ে প্রাতঃভ্রমনকারী দের থেকে কোনো ফি না নেওয়ায় প্রস্তাব আসলেও পরবর্তী পর্যায়ে অবাঞ্ছিত ভিড় ও পার্কের সৌন্দর্য্য বজায় রাখতেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অধিকারীক সূত্রে খবর অনুযায়ী ইতিমধ্যে ৫০জন প্রাতঃভ্রমনকারী তাদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। হিডকোর তরফ থেকে আর ও জানান হয়েছে, এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে আটটা এবং নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত ভোর ছয়টা থেকে সাড়ে আটটা অবধি প্রাতঃভ্রমনকারীরা পার্ক ব্যবহার করতে পারবেন। পার্কের প্রায় ৪৮০একর এলাকায় সর্বত্রই তারা যেতে পারবেন। তবে প্লাস্টিক জাতীয় কোন দ্রব্য নিয়ে পার্কে ঢোকা নিষেধ।
এতদিন নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমনের জন্য ব্যস্ত রাস্তায় হাঁটতে হতো এবং তাতে দুর্ঘটনায় আশঙ্কা ছিল যে কোন মুহুর্তে,এমনটাই জানিয়েছেন নিউটাউন এলাকাবাসী। বিশেষত বয়স্কদের জন্য অনেক বেশি সুবিধা হওয়ায় তারা অনেক বেশি নিশ্চিত ও আপ্লুত। যদিও পার্কে চড়া ফি অনেকেই মনেই ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে, ফি কমানোর জন্য তারা প্রতিনিয়ত দরখাস্ত জমা দিচ্ছেন বলেই জানা গিয়েছে। হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশীষ সেন সেক্ষেত্রে পুরো বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে পুনঃবিবেচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।