কালিপূজো উপলক্ষে বসলো হারানো পুতুল নাচের আসর


সোমবার,২৩/০৪/২০১৮
803

পিয়া গুপ্তা ,কালিয়াগঞ্জ : পাশ্চাত্য সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে ও আজকে প্রজন্মের কাছে সেই ঐতিহ্য কে তুলে ধরতে অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের অনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিন মুকুন্দার ভেলাই কালি পূজা কমেটি।এবার এই কালি পূজা ২৫ বছররে পর্দাপন করেছে। আর ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে পূজা কমেটি পূতল নাচের আয়োজন করেছে। আর এই পুতুল নাচকে ঘিরে গ্রামের মানুষদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। শুধু গ্রামের লোকেরাই নয় আশে পাশের গ্রামের লোকেরা ও ভির জমিয়েছিল পুতুল নাচ দেখতে।
এলাকায় মুকুন্ধার সর্বজনীন মা কালী পূজা কমিটির সদস্যরা জানান পাশ্চাত্যের যাঁতাকলে পড়ে, ঘরে ঘরে বোকা বাক্স ও অত্যাধুনিক মোবাইল সহজেই হাতের নাগালে আসায় আমরা গ্রামবাংলার সুপ্রাচীন ঐতিহ্যকে হারিয়ে ফেলতে বসেছি ।

এক সময় গ্রাম বাংলার মনোরঞ্জনের প্রধান উৎস ছিল পুতুল নাচ। যদিও তা আজ ইতিহাসে পরিণত হতে বসেছে। তাই গ্রাম বাংলার সুপ্রাচীন ঐতিহ্য “পুতুল নাচ”কে সকলের সামনে তুলে ধরতেই তাদের এই অভিনব উদ্যোগ ।কালি পূজাকে ঘিরে যেমন পূতুল নাচের আয়োজন হয়েছিল তার সাথে বসেছে মেলা। খাবার দাওয়ার থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামগ্রীর দোকান দারেরা নিজেদের পশরা সাজিয়ে বসেছে। পুতুল নাচ দেখে খুশি গ্রামে মহিলাও।তারা জানান গ্রামে এখন এই সব পুতুল নাচ দেখা যায় না।অনেক দিন পড় পুতুল নাচ দেখে তাদের খুব ভালো লেগেছে বলে জানান চৈতলী আচার্য ও মমতা দেবসর্মারা।

মুকুন্ধার সর্বজনীন মা কালী পূজা কমিটির আয়োজনে দক্ষিন ২৪ পরগণা জেলার পুতুল নাচ শিল্পীরা কাঠ পুতুলের মাধ্যমে ঘণ্টা তিনেকের পৌরাণিক কাহিনী ও ফুটিয়ে তুললেন এই মেলাতে। জানা যায় মুকুন্ধার সর্বজনীন মা কালী পূজা এবছর ২৫তম বর্ষে পদার্পণ করল। বৈশাখ মাসের শনিবার রাতে মায়ের পুজো সম্পূর্ণ হয়। মন্দিরের পার্শ্ববর্তী মাঠে দু-দিন ব্যাপী চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান । বসেছে বিশাল মেলা। ভেলাই, সাধিপুর, উত্তর মির্জাপুর, কোঠাগ্রাম সহ আশেপাশের গ্রাম গুলি থেকে আসা কয়েক হাজার মানুষের ভিরে উপচে পড়েছে মেলা প্রাঙ্গন।
এলাকায়মুকুন্ধার সর্বজনীন মা কালী পূজা কমিটির সদস্য দীপঙ্কর চ্যাটার্জী জানান, মায়ের পূজাকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এবছর রয়েছে পুতুল নাচ সহ লোকনৃত্য । লোক সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন “সারে গা মা পা” খ্যাত শিল্পীরাও ।

Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট