এবার উত্তর দিনাজপুর জেলাতেও ‘এমআর-ভ্যাকসিন’ দেওয়া হবে হাম ও কনজেনিটাল রুবেলা সিনড্রোম নির্মূল করতে । এই এমআর-ভ্যাকসিন দেওয়া হবে কনজেনিটাল রুবেলা সিনড্রোম অর্থাৎ শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুর জন্মরোধ করার জন্য ।জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে নয় মাস থেকে ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত সমস্ত ছেলেমেয়েকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে । হাম ও কনজেনিটাল রুবেলা সিনড্রোমের জন্য এমআর-ভ্যাকসিন দেওয়া হলে একদিকে শিশু ও নাবালক-নাবালিকাদের হাম থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। অপরদিকে, মেয়েদেরে ছোট বয়সে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হলে পরবর্তীতে তারা যখন সন্তানের জন্ম দেবে তখন বোবা ও কালা শিশুর জন্ম হবে না বলে দাবি করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
কলকাতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এনিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের । এরপর জেলার বিভিন্ন স্তরে বৈঠক ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালনের পর ৩১ জুলাই থেকে এই এমআর-ভ্যাকসিন অভিযান চালানো হবে বলে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, জেলায় নয় মাস থেকে ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত নয় লক্ষ ৩০ হাজার শিশু ও নাবালক-নাবালিকাকে এই ভ্যাকসিন বা টিকা দেওয়া হবে। জেলার স্বাস্থ্য কেন্দ্র, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির পাশাপাশি স্কুলগুলিকে এই টিকাকরণের কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করা হবে। জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ-৩ শ্যামল বিশ্বাস বলেন, হাম ও কনজেনিটাল রুবেলা সিনড্রোম নির্মূল করতে এমআর-ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এবিষয়ে কলকাতায় রাজ্যের একাংশ জেলাগুলির স্বাস্থ্য আধিকারিকদের ৩০ মে দু’দিনের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
১ ও ২ জুন বাকি জেলার প্রশিক্ষণ হবে। সে সময়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার আধিকারিকদের প্রশিক্ষণও হবে। এরপর জেলায় ৩১ জুলাই থেকে এই এমআর- ভ্যাকসিন অভিযান চলবে। এর ফলে একদিকে যেমন হাম নির্মূল হবে তেমনি অপর দিকে বোবা ও কালা শিশু জন্মানো বন্ধ করা সম্ভব হবে।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দু’টি রোগ নির্মূল করতে আগে সাধারণভাবে এমআর-ভ্যাকসিন দেওয়া হতো। এবার বিশেষ কর্মসূচি তৈরি করে পোলিওর মতো এই দু’টি রোগকেও নির্মূল করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই কাজে শুধু স্বাস্থ্য দপ্তরই নয় এর সঙ্গে জেলার শিক্ষা দপ্তর, প্রাইভেট প্র্যাকটিসরত চিকিৎসক, প্রাইভেট স্কুলের কর্তৃপক্ষ, সংবাদ মাধ্যম সহ বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরকে নিয়ে আলাদা করে বৈঠক করবে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।
Auto Amazon Links: No products found.