স্ত্রীর ব্লাউস না কিনে মুরগীর মাংস কিনে বাড়ি ফেরায় স্বামীর সাথে গন্ডগোল এর জেরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা স্ত্রীর


মঙ্গলবার,০৫/০৬/২০১৮
711

বাংলা এক্সপ্রেস---

গণ্ডগোলের জেরে স্বামী ও স্ত্রীর বিষপান।স্ত্রী মৃত্যুর সাথে হাসপাতালে পাঞ্জা লড়ছে অন্যদিকে স্বামী মৃতদেহ ঘিরে চাঞ্চল্য কালিয়াগঞ্জ । স্ত্রীর ব্লাউস না কিনে মুরগীর মাংস কিনে বাড়ি ফেরায় স্বামীর সাথে গন্ডগোল এর জেরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা স্ত্রীর। আবার সেই স্ত্রীর বিষ খেয়ে আত্ম হত্যা করলো স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিন সীমান্ত বর্তী গ্রাম বকদুয়ার।  ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গ্রামে। বর্তমানে স্ত্রী লতিকা রায় ( ২২)  মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। মৃত স্বামীর নাম উদয় রায় (২৪) তার দেহ পড়ে থাকতে দেখতে পায় গ্রামের মানুষ বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে একটি আম বাগানের মধ্যে ।

জানা যায়  মৃত উদয় দিল্লীতে শ্রমীকের কাজ করতো গত এক মাস আগে সে বাড়ি ফিরে এসেছিল। তাদের দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত সোমবার ধনকৈইল হাটে মৃত উদয়  রায় ও তার বাবা কমল রায় গিয়েছিল ধান বিক্রি করতে হাটে। সেই সময় লতিকা তার স্বামী উদয় কে বলেছিল হাট থেকে ব্লাউজ কিনে নিয়ে আসতে। কিন্তু উদয় হাট থেকে ব্লাউজ না নিয়ে মুরগীর মাংস কিনে নিয়ে আসে। এই নিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে  গন্ডগোল লাগে।রাগের জেরে দোকান থেকে বিষ এনে তা খেয়ে আত্ম হত্যার চেষ্টা করে লতিকা রায়।  গুরুত্বর  অবস্থায় লতিকা কে কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সোমবার রাতেই।

এরপরে স্বামী উদয় রায় তার স্ত্রীর বিষ নিয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। অধিক রাত পর্যন্ত খোজ খবর না পাওয়ায় খোঁজ করতে গেলে   উদয়কে আম বাগানের  মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায ।  মঙ্গলবার সকালে ৯ নাগাদ বৃষ্টি শুরু হয় বৃষ্টি থামার পড় আম বাগানে আম কুড়াতে গেলে গ্রামের লোকেদের নজরে আসে প্রথমে উদয়ের মৃতদেহ। বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায় খবর দেওয়া হয় কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।

Affiliate Link Earn Money from IndiaMART Affiliate

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট