আম জাম ছেড়ে ক্রেতা ঝুঁকছে তালে


বৃহস্পতিবার,২৮/০৬/২০১৮
840

পিয়া গুপ্তা---

তীক্ষ্মধার কাটারির আঘাতে শক্ত খোলস থেকে বেরিয়ে আসছে সরস কচি তালের শাঁস। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে গলাটা একটু ভেজাতে পথচারীরা ভিড় করছেন তালের শাঁস বিক্রেতার কাছে। কালিয়াগঞ্জের হাট বাজার ছাড়াও বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন, রাস্তার  মোড়ে,  এমন দৃশ্যের দেখা মিলছে। সুস্বাদু তালের শাঁস খেয়ে দিনমজুর থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীরা প্রশান্তির পরশ নিয়ে তাৎক্ষণিক ক্লান্তি দূর করছেন। আবার কেউ কেউ পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য তালের শাঁস নিয়ে ঘরে ফিরছেন। আম ও লিচুসহ মৌসুমি অন্যান্য ফলের ক্ষেত্রে বর্তমানে বিষাক্ত ফরমালিন ব্যবহারের ঘটনা খুবই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। কিন্তু তালের শাঁস পাকাতে কিংবা দীর্ঘ সময় তরতাজা রাখার জন্য এসবের প্রয়োজন হয় না।

ফলে ভেজালমুক্ত তালের শাঁসের কদর বেশি বলে জানান বিক্রেতারা। বিক্রেতারা বলেন, একটি তালের পাইকারি দাম ৪ টাকা। খুচরা পর্যায়ে ৫ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।  তালের শাঁস বিক্রেতা সুজিত সরকার বলেন, গরম এখন চরমে। যে কারণে তালের শাঁসের চাহিদাও বেশি। সব ফল পাকাতে কিংবা সংরক্ষণ করতে বিষাক্ত ক্যামিকেল ব্যবহার করা হলেও তালের শাঁসে তার দরকার হয় না। তাই স্বল্প সময়ে অল্প পয়সার এই ব্যবসায় লাভের অঙ্ক ওআকাশ ছোঁয়া।একজন তালের শাঁস বিক্রেতা জানান  এক একটি তাল গাছ ৩০০ টাকা দিয়ে কেনেন । প্রতিটি তাল গাছে ২০০টি বা তার বেশি কচি তাল পাওয়া যায়। গাছ থেকে তালগুলি পেরে কালিয়াগঞ্জ শহরের রাস্তার ধারে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসেন বিক্রেতারা।  প্রতিটি তাল বিক্রি করছেন ৫-৭ টাকা দরে। একটি তালে দুই থেকে তিনটি শাঁস থাকে। কখনও বড় আকৃতির তালে ৪টি শাঁসও পাওয়া যায়। গ্রাম থেকে তাল এনে তারা  শহরেও বিক্রি করে কয়েক শ’ ব্যবসায়ী জীবিকা নির্বাহ করছেন বলেও জানান এক ব্যবসায়ী ।

একজন তালশাঁস বিক্রেতা বলেন, গরমও বাড়ছে, তালের শাঁসের কদরও বাড়ছে। যে কারণে আনার সঙ্গে সঙ্গেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এবারে তালের ফলন কম হওয়ায় তালের শাঁসের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে চড়া মূল্যে এ মৌসুমি ফল বিক্রি করতে হচ্ছে। তালশাঁস কিনতে আসা সবুজ রায়  নামের এক ক্রেতা বলেন,  নানা ধরনের ফল বাজারে উঠছে। যা কিনতে ভয় হয়। সব ফলেই বিষ দেওয়া। কেবল ভালো আছে তালের শাঁস। প্রতি বছরই বাচ্চাদের জন্য বিষমুক্ত এ তালের শাঁস কেনেন বলেও জানান তিনি।

Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট