জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার ৮ বছর কেটে গেলেও আজও ডেথ সার্টিফিকেট পেলনা সেই দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার পরিজনেরা


মঙ্গলবার,০৩/০৭/২০১৮
562

বাংলা এক্সপ্রেস---

জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার ৮ বছর কেটে গেলেও আজও ডেথ সার্টিফিকেট পেলনা সেই দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার পরিজনেরা । সমস্ত স্তরে আকুতি মিনতি, আবেদন নিবেদন করেও কোনো লাভ না হওয়ায় আজ সেরকমই চারটি পরিবার দ্বারস্থ হলো আদালতে । আজ মেদিনীপুর জেলা আদালতে আইনজীবী তীর্থঙ্কর ভকতের মাধ্যমে আদালতের কাছে মৃত্যুর শংসাপত্র পাওয়ার আবেদন জানিয়ে মামলা করলেন সেইসব অসহায় পরিবার গুলি । ২০১০ সালের ২৭শে মে শরডিহার কাছে মাওবাদী নাশকতায় মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে । সেই দুর্ঘটনায় মারা যায় দেড় শতাধিক ট্রেন যাত্রী । যার মধ্যে এখন নিখোঁজ রয়েছে ১৭ টি পরিবারের ১৮ জন ।  আজ সেরকমই নিখোঁজ ৪ জনের পরিবারের সদস্যরা আজ মেদিনীপুর আদালতে মামলা করলেন ।

চারটি পরিবারের ৬ সদস্যরা হলেন, নীলম সিং (৩৭), রাহুল কুমার সিং (১৭) রোহিত কুমার সিং (১৫) প্রসেনজিৎ অট্ট (৪২), মহম্মদ আহমেদ শাহ এবং স্নেহা ভট্ট । নিখোঁজ সিং পরিবারের সদস্য সুরেন্দ্র কুমার সিং অভিযোগ করেন, আমি যেখানে যাচ্ছি, ডেথ সার্টিফিকেট চাইছে । আমি ডেথ সার্টিফিকেট কোথায় পাবো ? আমি ট্রেন দুর্ঘটনায় আমার দুটো ছেলেকে, স্ত্রীকে হারিয়েছি । আমরা আমাদের পরিবারের লোকেদের ডেথ সার্টিফিকেট চাই । আট বছর হয়ে গেলো এখনও আমরা সার্টিফিকেট পেলাম না ।

অন্যদিকে প্রসেনজিৎ অট্টর স্ত্রী যুথিকা অট্ট জানান, জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা ৮ বছর হয়ে গেলো, এখন ডেথ সার্টিফিকেট পেলামনা । মানুষটারও কোনো খোঁজ পেলাম না । সরকার বলছে চাকরি দেবে, কিন্তু ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া হবেনা । আমি সমস্ত স্তরে আবেদন জানিয়েছি, রেল দপ্তরে, মুখ্যমন্ত্রীকে, নবান্নে, কিন্তু কোথাও কোনো সদুত্তর পেলাম না । তাই শেষ মেস আইনের দ্বারস্থ হয়েছি ।

এরকমই বক্তব্য নিখোঁজ বাকিদের পরিবার পরিজনদেরও। এই পরিবার গুলো জেলা প্রশাসন, রাজ্য প্রশাসন কিংবা রেল প্রশাসন কোনো জায়গা থেকেই এখনও কোনো সদুত্তর পায়নি বলেই অভিযোগ । নিজেদের পরিজনদের হারিয়ে এরা আগেই নিঃস্ব হয়েছে । এবার ডেথ সার্টিফিকেটের জন্য অসহায় হয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে এদিক ওদিক । আইনজিবি তীর্থঙ্কর ভকত জানান, এটা খুবই দুঃখের বিষয় যে আট বছর কেটে গেলেও এই হতভাগ্য পরিবার গুলিকে নিজেদের প্রাপ্য টুকুর জন্য ছুটে বেড়াতে হচ্ছে । আমি সমস্ত বিষয়টি আদালতের কাছে তুলে ধরবো । তার থেকে বড় বিষয় প্রশাসন যদি এই পরিবার গুলোর প্রতি একটু মানবিক হয়, তাহলে এদের বিভিন্ন দপ্তর বা আদালতে ছুটে বেড়াতে হবে না ।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট