ঝাড়গ্রামে বোনের সহযোগিতায় নিজেই নিজের বিয়ে রুখল পূজা


বুধবার,১১/০৭/২০১৮
473

নিজস্ব সংবাদদাতা---

বাড়িতে অভিভাবকরা বিয়ের ঠিক করায় বােনকে নিয়ে স্কুলে এসে অভিযােগ জানাল এক ছাত্রী। মঙ্গলবার সকালে ঝাড়গ্রাম শহরের নানীবালা বালিকা বিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। পূজা বিশ্বাস নামে ষােলাে বছরের মেয়েটি নবম শ্রেণির ছাত্র। তার এক বছরের ছােট বােন মণীষা পড়ে অষ্টম শ্রেণিতে। ঝাড়গ্রাম শহরের বাছুরডোবায় থাকে তারা। বাবা পেশায় দর্জি। মা মঞ্জু বিশ্বাস পরিচারিকার কাজ করেন। বাড়ি থেকে পূজার বিয়ে ঠিক করা হয় এগরার এক যুবকের সঙ্গে। বছর চব্বিশের ছেলেটি পূজাদের বাড়িতে যাতায়াত শুরু করে। পূজা বিয়েতে রাজি হওয়ায় তার বাবা মা মারধাের শুরু করে। কোচিং সেন্টারে টিউশনি পল ও স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত বিয়ে করবে বলে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়। পূজা স্কুলে যাওয়ার অনুমতি পায়। এদিই বােনকে নিয়ে স্থলে এসে টিচার ইনচার্জ সুচেতা সেনগুপ্ত বসুকে পুরাে

ঘটনাটি জানায় সে। পূজার লিখিত অভিযােগ পেয়ে সুচেতাদেবী এসডিও এবং বিডিওকে ঘটনাটি জানান। এরপর স্কুলে যান ঝাড়গ্রামের বিডিও অভিগ্নাদেশী চক্রবর্তী, এসডিপিও (ঝাড়গ্রাম) দীপক সরকার, ঝাড়গ্রাম মহিলা থানার ওসি অর্পিতা সাহা, ঝাড়গ্রাম পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন শিউলি সিংহ, স্থানীয় কাউন্সিলর কল্লোল তপাদার।

স্কুলে ডেকে পাঠানাে হয় পূজার বাবা রাহুল বিশ্বাস ও মা মৰেীকে। তারা অবশ্য অভিযােগ অস্বীকার করেন। পরে বিডিও অভিগ্নাদেশী রাহুলবাবুর বাড়িতে যান। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন। ঝাড়গ্রামের মহকুমাশাসক দুই ছাত্রীকে সরকারি হােমে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে সেখান থেকে যাতে তারা নিরাপদে পড়াশুনার করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হবে।

Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট