স্বাধীনতা উপলক্ষে পরিচিত ও শিশুদেরকে জাতীয় পতাকা উপহার


বৃহস্পতিবার,১৬/০৮/২০১৮
589

বিশেষ প্রতিবেদন---

দেশ যখন সাম্প্রদায়িকতার আগুনে জ্বলছে,তখন পালিত হতে যাচ্ছে ৭২তম স্বাধীনতা দিবস।চারিদিকে দলিত ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর বেড়েই চলেছে নির্যাতন। নানা সময়ে প্রশ্ন তোলা হয় বিশেষকরে সংখ্যালঘু মুসলিদের দেশভক্তি নিয়ে। ৭২তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে পরিচিতদের মধ্যে জাতীয় পতাকা উপহার দিয়ে তথাকথিত দেশভক্তদের মুখে কুলুপ দিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙড়ের সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে।

পেশায় দৈনিক ও নিউজ পোর্টালের সাংবাদিক সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে। বাড়ী ভাঙড় ২ ব্লকের শানপুকুর অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রাম ছেলেগোয়ালিয়াতে। অত্যন্ত গরীব পরিবারের সন্তান তিনি। বাবা আমজেদ আলি মিদ্দে পেশায় ডাবের ব্যাবসায়ী। মা মাজিদা বিবি গৃহবধু। চার ভাই বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় ।তার পরিবার এবং পাড়ায় তিনিই প্রথম মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্র।কারবালা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কলা বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হওয়ার পর ভর্তি হন রাজারহাট ডিরোজিও মেমোরিয়াল কলেজে। সেখান থেকে রাষ্ট্রবিঞ্জানে সাম্মানিক স্নাতক উপাধি লাভ করেন। সহযোগি বিষয় হিসাবে ছিল ইতিহাস ও সাংবাদিকতা এবং গনঞ্জাপন।

জাতীয় পতাকা পরিচিত ও শিশুদের দের মধ্য উপহার দেওয়া প্রসঙ্গে সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে বলেন,স্বাধীনতা আসলে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে।স্বাধীনতার আনন্দে উদভাসিত হয়ে ওঠে মন। এখন দেখতে পাই ছেলেপুলে ও শিশুদের মধ্যে দেশাত্ববোধক ভাব খুব কম।দেশের সম্পর্কে তারা তেমন কিছু জানেনা। তাদের দেশ ভক্তি জেগে ওঠে শুধুমাত্র ভারত-পাকিস্তান খেলা হলে। তারপর যেন কোথায় হারিয়ে যায় দেশের প্রতি মায়া-মমতা ও শ্রদ্ধা।যেটি আমাকে ভাবাতো।তিনি আরও বলেন,এ ঘটনা আমাকে হতবাক করে,যখন আমাদের স্বাধীন দেশে ব্রাজিল- আর্জেন্তিনার পতাকা ওঠে। বিশ্বকাপ আসলে এ ছবি ধরা পড়ে অহরহ। অথচ ভারত যখন বিশ্বকাপ খেলে,বিশ্বকাপ জেতে তখন আমার চোখে ধরা পড়েনা জাতীয় পতাকা কোথাও উড়ছে। কখনও কখনও শোনা যায় পাকিস্থানের পতাকা উড়ছে দেশের কোথাও। এ ঘটনা আমাকে ব্যাথিত করে। এই সব ঘটনা থেকে এবছর আমি পরিচিতদের হাতে স্বাধীনতা দিবসের উপহার হিসাবে তুলে দিলাম জাতীয় পতাকা। তুলে দিলাম কোমল মতি শিশুদের হাতেও।

Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট