পাঞ্জাবে ডাক পেয়েও এখনও রাজ্য তথা মুখ্যমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে সুটার অায়সী পোদ্দার


বৃহস্পতিবার,২৩/০৮/২০১৮
611

সুমন করাতি---

হুগলী: রাজ্যের কাছে বার বার দরবার করেও মিলেছে বঞ্চনা। বারে বারে একই পরিস্ততির শিকার হয়েই এক প্রকার বাধ্য হয়ে চরম সিদ্ধান্ত নিতে হবে সুটার অয়ুসী পোদ্দারকে। ২০১৪ প্রথম রাজ্যর হয়ে সুটিং চাম্পিয়নশিপ । প্রথমেই সবার নজর কেড়ে নিয়ে সোনা পায় অায়ুসী পোদ্দার। এর পর স্কুল লেবেল, ডি; লেবেল থেকে শুরু করে স্টেটে, অায়সীর ঝুলিতে রয়েছে পদকের ছড়াছড়ি ।

২০১৪ প্রথম ন্যাশনালে সিলভার পদক অর্জন করে সে। ২০১৬ র ন্যাশনালে সোনা জয় করে জুনিয়র রাঙ্কিএ রেকর্ড করে অায়ুসী। এর পর ১৭- ১৮ তে বিভিন্ন ন্যাশনালে সোনা এনেছে। ২০১৬ তেই জার্মানিতে হওয়া জুনিয়ার ইন্টারন্যাশনাল চাম্পিয়নশিপে  প্রথম সোনা পায়।এর পর বহু জায়গায় একাধিক সোনা পায় অায়ুসী।সামনেই কোরিয়াতে রয়েছে ওয়ার্ল্ড চাম্পিয়নশিপ।

কিন্তু এখানে কি হবে সেই দুশ্চিন্তাই এখন কুরে কুরে খাচ্ছে বাবা পঙ্কজ পোদ্দারকে। কারন এত বড় ইভেন্টে ভাল রেজাল্ট পেতে চাই ভালো রাইফেল।যার দাম কয়েক লক্ষ টাকা। তাই একটা ভালো রাইফেলের জন্য রাজ্য ক্রীড়া দপ্তরে অাবেদন করে চিঠি দেয় পঙ্কজ বাবু। সেই চিঠিতে সারাও পান তিনি। কিন্তু অাগে সাহায্যের নামে তাকে চরম অপমানিত করে ক্রীরা দপ্তর থেকে। একটা অান্তর্জাতিক সুটার কে এমন অপমান করাকে মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে পঙ্কজ বাবুর।

একদিকে ঠিকমত প্র্যাকটিস করার জায়গার অভাব, অন্য দিকে, উন্নত মানের একটা রাইফেল এবং যাবার খরচ সবমিলিয়ে দিশাহীন অায়ুষী ও তার বাবার। সব কিছু সুবিধা দেবে বলে পাঞ্জাব থেকে ডাক এসেছে। এই রাজ্য থেকেই সে বড় হয়েছে তাই মন চায় না রাজ্য ছেড়ে যেতে। তাই শেষ ভরসা এখন মুখ্যমন্ত্রী। উপায় না দেখে এখন কি ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করবেন তারই পথ খুজচে বাবা ও মেয়ে। তারা অাশায় অাছে যে অামাদের মানবিক ও খেলা ভালোবাসা মুখ্যমন্ত্রী ঠিক কিছু একটা ব্যবস্থা করবে। অার না হলে অন্য রাজ্যে. না চাইলেও যেতে হবে।

এবারবাংলা এক্সপ্রেসআপনার মোবাইলে, ডাউনলোড করুন বাংলা এক্সপ্রেস ফ্রি মোবাইল অ্যাপ 

Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট