আক্তারুল খাঁন, হাওড়া: যাত্রীবাহী কোন গাড়ির ছাদে ভ্রমণ করা আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বাসের ছাদে যাত্রী তোলার জন্য প্রশাসনকে বিভিন্ন সময় কঠোর হতে দেখা গেছে।কিন্তু জেলার স্তরে টেকার ও ম্যাজিক গাড়ির ছাদে যাত্রী বোঝাই করে চলাচল করা চিত্রটা একই রয়ে গেছে। প্রশাসন কি দেখে ও দেখেনি? হাওড়া জেলার আমতা রামচন্দ্রপুর থেকে বড়গাছিয়া পর্যন্ত চলে ম্যাজিক গাড়ি । জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ম্যাজিক গাড়ির ছাদে উঠে দিনের পর দিন চলেছে নিত্যযাত্রীরা। এমনই একটি চিত্র ধরা পড়েছে আমাদের ক্যামেরায়। আমতা থেকে হাওড়া এই রুটি বহু পুরাতন, এক্সপ্রেস বাস থেকে শুরু করে লোকাল বাস, মিনিবাস সবকিছুই চলেছে আমতা থেকে হাওড়া। প্রায় দশ বছর হয়ে গেল এই রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। প্রশাসনকে নতুন করে এই রুটে বাস চালানোর উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। আমতা থেকে মুন্সিরহাট,ডোমজুড় ও বড়গাছিয়া যেতে গেলে অটো, টোটো ম্যাজিকে করে বেশি পয়সা দিয়ে নৃত্য দিন সাধারণ মানুষকে যাতায়াত করতে হয়। রামচন্দ্রপুর থেকে একমাত্র ভরসা ম্যাজিক গাড়ি। কথা হচ্ছিলো কলেজ ছাত্রী দীপালি পলের সঙ্গে,বলেন বড়গাছিয়া থেকে আমতায় রোজ কলেজ যায় বেশির ভাগ সময় ঝুলে ঝুলে যাতায়াত করতে হয়।বছর পঞ্চাশের অচিন্ত্য দে জানান,এই রুটে যখন থেকে বাস বন্ধ হয়ে গেছে ম্যাজিক গাড়িয় আমাদের একমাত্র ভরসা। ব্যস্ত মুহূর্তে সাধারণ মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এইভাবে যেতে বাধ্য হতে হয়।যাত্রীদের গাদাগাদি করে যাওয়া যেন গা সওয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে।সুকদেব প্রামাণিক নামে এক যাত্রী বলেন,এই রুটের ম্যাজিক গাড়ি ছাদে ও ঝুলে ঝুলে যে ভাবে যাত্রী নিয়ে যায়। প্রশাসন কি কোনো রকম ব্যবস্থা নিতে পারেনি। যেকোনো মুহূর্তে বড়ো দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।তাই ট্রেকার বা ম্যাজিকের ছাদে যাত্রী তোলা ঠেকাতে সড়ক টহলদারি পুলিশকে নজরদারি বাড়ানো দরকার। কারণ ট্রেকার বা ম্যাজিকের ছাদে ভ্রমণ করতে গিয়ে যে সদস্যকে কোনো পরিবার হারায়।সেই পরিজনদের ক্ষতি কোন ভাবে পূরণ করা সম্ভব নয়।
ট্রেকার ও ম্যাজিক গাড়ির ছাদে যাত্রী বোঝাই করে চলছে দিনের পর দিন উদাসীন প্রশাসন
সোমবার,০৮/১০/২০১৮
2057
বাংলা এক্সপ্রেস ---