ব্যতিক্রমী নজির শিমুরালিতে, ভালো কাজের স্বীকৃতিতে চিকিৎসককে সম্বর্ধণা দিল উপকৃতরা


বৃহস্পতিবার,১৫/১১/২০১৮
920

বাংলা এক্সপ্রেস---

নদিয়া: রোগীর মৃত্যুর জন্য চিকিৎসকদের দায়ী করা বা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের দিকে আঙুল তুলে মারমুখী হওয়ার ঘটনা আমাদের রাজ্যে নতুন নয়। চিকিৎসকদের প্রতি রোগীদের পরিবার বা তাঁদের নিকটস্থ কোনো প্রভাবশালীদের অভব্যতায় হসপিটালের চাকুরী ছেড়ে দিতে চাইছেন অনেক ডাক্তারবাবুরাই। ইতিমধ্যে চাকুরী ছেড়েও দিয়েছেন কেউ কেউ। নেতিবাচক রাজনীতি ও সামাজিক অবক্ষয়ের জোড়া ফলায় চিকিৎসকরা আজ শ্রেনিশত্রুতে পরিনতপ্রায়।

কিন্তু ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটল শিমুরালিতে। ফলপ্রদ সুচিকিৎসা ও গরীব রোগীনিদের পাশে থাকার জন্য কল্যাণী কলেজ অফ মেডিসিন এন্ড জে.এন.এম হসপিটালের অধ্যাপক ডাঃ সৌগত কুমার বর্মনকে অভুতপূর্ব সম্বর্ধণা দিলেন শিমুরালিতে তাঁরই চিকিৎসায় উপকৃত পরিবারবর্গ। বন্ধ্যাত্ব সমস্যার নিরসনে সন্তান সুখ পেয়ে অপ্লুত পরিবার বর্গের তরফ থেকে শিমুরালি মেডিকেল হলে ডাক্তারবাবুকে আগেভাগে কিছু না জানিয়েই সম্বর্ধণার ব্যবস্থা করা হয়।

স্থানীয় চিকিৎসক ডাঃ প্রশান্ত কুমার সিংহ (জেনারেল ফিজিশিয়ান) জানালেন, “স্ত্রীরোগ, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব সমস্যার সমাধানে অধ্যাপক বর্মনের গবেষণা বিষয়ক প্রবন্ধ ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ইনফার্টিলিটিতে তাঁর কাজের সাফল্য সম্পর্কে শুনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক বিশ্ব। সিঙ্গাপুরের আয়োজিত ইনফার্টিলিটি সেমিনারে প্রেজেন্টেশান দিতে যাচ্ছেন ডাঃ বর্মণ। আগামী 21শে নভেম্বর তিনি উড়ে যাবেন সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্য। সেখান থেকে ফিরেই মুম্বাইতে যোগ দেবেন আরও একটি সেমিনারে। তাঁর সাফল্য আমাদের সকলকে প্রেরণা যোগায়।

সিঙ্গাপুর যাওয়ার প্রাক মুহুর্তে তাই এই অনাড়ম্বর সম্বর্ধণা।” শিমুরালীর চিকিৎসাজগতের অন্যতম পথিকৃত বর্ষীয়ান ফার্মাসিষ্ট গোবিন্দ রায় অধ্যাপক বর্মণের হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দিয়ে সিঙ্গাপুর যাত্রার প্রাক্কালে শুভকামনা জানান! ডাঃ প্রশান্ত সিংহ মহাশয় অধ্যাপক বর্মনের হাতে একটি বিশেষ স্মারক ডক্টরস অব দ্য় ইয়ার 2018 (সংবাদপত্রে তাঁরই নামে প্রকাশিত কিছু সংবাদের কোলাজ) তুলে দেন। শিক্ষক দীপঙ্কর মন্ডল ও প্যাথোলজীকাল ল্যাব সংস্থার পরিচালক শ্রী নবোজ্যোতি বিশ্বাস ডাঃ বর্মনের হাতে মিস্টির প্যাকেট তুলে দিয়ে আগামী দিনে আরও সাফল্য কামনা করেন। সবশেষে অধ্যাপক বর্মন জানান, এসবের কোনো দরকারই ছিল না, “রোগীনিদের সমস্যার সমাধান করতে পারলে সেটাই আমার আসল পুরস্কার!”

Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট