আজ ঠিক পৌনে দুটো নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার এসে নামে চন্দননগর কুঠির মাঠে। সেখান থেকে সোজা গাড়িতে করে তিনি চলে আসেন চন্দননগর পালপাড়া সার্বজনীনে। সেখানে মন্ডপে প্রবেশ করেই তিনি প্রতিমা দর্শন করেন। এরপর অষ্টমী পুজোর অঞ্জলি দিয়ে তিনি জনসমক্ষে চলে আসেন। তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের শুরুতেই তিনি কুঠির মাঠের বেহাল গ্যালারির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এরপর তিনি সেখানে স্টেডিয়ামের জন্য ২৫ লক্ষ টাকার অনুদান ঘোষনা করেন। পাশাপাশি এবছর থেকে দুর্গা পুজোর ন্যায় জগদ্ধাত্রী পুজোতেও চন্দননগর জগদ্ধাত্রী বিশ্ব বাংলা পুরস্কারের কথা ঘোষনা করেন।
এই মত তিনি হুগলীর জেলাশাসকে ১০ টি পুরস্কার দেওয়ার জন্য কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। অন্যদিকে এদিন কুঠির মাঠ থেকে পালপাড়ায় আসার পথে বিসর্জনের শোভাযাত্রার উদ্দেশ্যে লরিতে সাজানো আলোকসজ্জা দেখে তিনি অভিভূত হয়ে বলেন চন্দননগরের ঐতিহাসিক শোভাযাত্রাই আমাকে কোলকাতায় কার্নিভাল করার উৎসাহ জুগিয়েছিলো। সামনের বার থেকে আমিও সেই কার্নিভালের জন্য চন্দননগরের ধাঁচে আগে থেকেই রাস্তার ধারে ট্যাবলো সাজাতে বলবো।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, হুগলীর সাংসদ ডাঃ রত্না দে নাগ, জেলাশাসক জগদীশ প্রসাদ মিনা সহ অন্যান্যরা। কুঠির মাঠ থেকে পালপাড়া পর্যন্ত রাস্তায় আগে থেকেই সাধারনের প্রবেশে বিধিনিষেধ জারি করা হয়। কঠোর নিরাপত্তার মোড়কে মুড়ে ফেলা হয় গোটা চন্দননগর শহর। আর যার জেরে বহু দুর দুরান্ত থেকে সাধারন দর্শনার্থীরা এসে ব্যাপক যানজটে পড়েন। যে কারনে বহু মানুষই এদিন মুখ্যমন্ত্রীর মত ভিভিআইপির চন্দননগরে আসা নিয়ে উষ্মাও প্রকাশ করেছেন।
Auto Amazon Links: No products found.