মুর্শিদাবাদঃ পনের টাকা না দেওয়ায় গৃহবধূকে ঘরে আটকে রেখে না খেতে দিয়ে ওই গৃহবধূর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালালো স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন বলে অভিযোগ নির্যাতিত গৃহবধূর। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের লালবাগ মহকুমার মুর্শিদাবাদ থানার এলাহীগঞ্জ এলাকায়। নির্যাতিতা মহিলা খড়গ্রামের বাসিন্দা পাপিয়া সুলতানা জানান যে, চার বছর আগে তার বিয়ে হয় মুর্শিদাবাদ থানার এলাহীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মাইনুল ইসলামের সঙ্গে। ওই দম্পতির ২বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। নির্যাতিতার অভিযোগ বিয়ের সময় পনের ৫লক্ষ টাকা দিতে পারেনি পাপিয়ার পরিবার। আর সেই কারনেই তারপর থেকেই তার উপর চলতে থাকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার।
প্রায় প্রতিদিন তার উপর চলত মারধোর। যত দিন যায় অত্যাচারের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়। প্রায় মাস খানেক ধরে পাপিয়াকে খেতে না দিয়ে একটি ঘরে আটকে রেখে চলত মারধোর। প্রতিবেশীরা জানালা দিয়ে খাবার দিলে কিছুদিন পরে সেই জানালা বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রতিবেশীরা পরে ড্রেন দিয়ে খাবার দিতে শুরু করলে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বচসা শুরু করে ওই পরিবার। বৃহস্পতিবার রাত্রে প্রতিবেশীরা একত্রিত হয়ে পাপিয়াকে শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ থানায় নিয়ে আসে। সেখানে নির্যাতিতা মহিলা স্বামী সহ চার জনের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
Auto Amazon Links: No products found.