মুম্বাই হামলার স্মৃতি আজও ভুলতে পারেনি কেউ। সে সময়ের তোলপাড় করে তুলেছিল এই ঘটনা সংবাদ শহরকে। এই হামলায় প্রান হারায় বহু মানুষ, আক্সমিক এই ঘটনার সাক্ষী ছিল গোটা দুনিয়া। ঝলমলে এর উজ্জ্বল সকাল মুখ ঢেকেছিল আঁধারে। ২00৮ সালের মুম্বাই হামলার ২6/11 হিসাবেও উল্লেখ করা হয়। নভেম্বরে ২00৮ সালে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার একটি দল ছিল, যখন পাকিস্তান ভিত্তিক ইসলামী সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা এর 10 সদস্য, মুম্বাই জুড়ে চারদিন স্থায়ীভাবে চলমান 1২ টি সমন্বিত শ্যুটিং এবং বোমা হামলার একটি সিরিজ পরিচালনা করে।
বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাপী নিন্দা সৃষ্টি করে এই হামলা শুরু হয় ২6 নভেম্বর বুধবার এবং ২9 নভেম্বর ২00৮ পর্যন্ত শনিবার পর্যন্ত চলতে থাকে; কমপক্ষে 174 জন নিহত এবং 300 এরও বেশি আহত হয়। আজমল কাসাব একমাত্র আক্রমণকারী যিনি পুলিশের দ্বারা জীবিত ছিলেন। হামলার মাত্র 10 টি আসামি আজমল কাসাব, এই হামলায় বেঁচে যান। তাকে ২01২ সালে যেরওয়াদা জেলে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। রক্তে ভিজেছিল মুম্বাই। এই আক্রমনে অজস্র মানুষ প্রান হারায়। প্রচুর সেনাবাহিনী এই আক্রমনে সাহসের সাথে লড়াই চালিয়েছিলেন। একের পর এক মৃত্যু আধার ঘনিয়েদিয়েছিল নীল আকশে।
প্রিয় জনকে হারানোর ব্যাথা আজও ভোলেনি অনেকে। তবে আজকের খবর অনুযায়ী মুম্বই হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পাকিস্তানকে বলল আমেরিকা। বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও জানালেন যারা এই ঘটনার নেপথ্যে ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। একই সঙ্গে অপরাধীদের নাগাল পেতে সাহায্য করলে ৫ মিলয়ন ডলার অর্থ পুরস্কারও ঘোষণা করল আমেরিকা। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বই হামলার স্মৃতি এখনও তাজা।