সবাই হাওয়া খেয়ে বেড়াবে আর দিদি একাই সব কাজ করে যাবে বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রীদের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর


বুধবার,২৮/১১/২০১৮
449

বাংলা এক্সপ্রেস---

পশ্চিম মেদিনীপুর : তিনি যে গতিতে কাজ করেন সেই গতিতে দলের সকলে কাজ করতে পারেন কিনা তা নিয়ে প্রতি মুহূর্তেই কর্মী-নেতা-বিধায়ক-সাংসদ-মন্ত্রী সকলকে বলে চলেছেন। তবু তাঁর কথা মতো কাজ করছেন না দলের অনেকেই। আর তার জন্য তাঁকে মাঝেমধ্যেই একটু কড়া হতে হচ্ছে। এর আগে কলকাতায় দলের কোর কমিটির সভায় তৃণমূল সুপ্রিমো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন- সবাই হাওয়া খেয়ে বেড়াবে আর দিদি একাই সব কাজ করে যাবে। এসব হবে না। তিনি প্রতি মুহূর্তে দলের সকলকে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর কথা বললেও অনেকেই যে তা পালন করছেন না তা বেশ বোঝা গেল সোমবার ঝাড়গ্রাম জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে।

এদিন এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা যে এই জেলার দলের বিধায়কদের কাজে সন্তুষ্ট নন তা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন। রাজ্যের মধ্যে যে জেলাগুলিতে বিজেপি পঞ্চায়েত নির্বাচনে সবচেয়ে ভাল ফল করেছে তার মধ্যে অন্যতম এই ঝাড়গ্রাম জেলা। কাজেই সেখানে যে বিধায়কদের ভূমিকা এড়ানো যায় না তা পরিষ্কার হয়ে গেছে। এটা যে নেত্রী কোনওভাবেই বরদাস্ত করবেন না সেটাও এদিনের বৈঠকে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন। যেখানে তিনি দলের সাংসদ ডা. ঊমা সোরেন থেকে শুরু করে বিধায়কদের কড়া ধমক দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস দলটা করতে হলে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। মানুষের কথা শুনতে হবে। মানুষের সমস্যা জেনে তার সমাধান করতে হবে। এসব না করতে পারলে তাকে নিয়ে দল ভাবতে বাধ্য হবে। সেটাই কিন্তু এদিনের বৈঠকে উঠে এসেছে।

সোমবারের ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে সর্বসমক্ষে কড়া ধমক দেন সাংসদ ডা. ঊমা সোরেনকে। তিনি কিছু বলতে চাইলে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি তাঁকে বলেন-“আমি শুনতে চাই না। তোমাকে বলতে হবে না। জনসংযোগের কাজ করো। মানুষের কাছে যাও। তাদের সঙ্গে কথা বলো। তারা কি চায় জানার চেষ্টা করো।” মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী যে তাঁর কাজে সন্তুষ্ট নন সেটাই এদিন বুঝিয়ে দেন তাঁকে। এর পর মুখ্যমন্ত্রী নয়াগ্রামের বিধায়ক দুলাল মুর্মুকে উদ্দেশ্য করে বলেন-“রান্না করে ভাতটা কি দিদি খাইয়ে দিয়ে আসবে। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মানুষের কাছে যাও। যোগাযোগ বাড়াও। মানুষের কি কি সমস্যা তা জানার চেষ্টা করো।”

এরপর মুখ্যমন্ত্রী চুড়ামনি মাহাতো, খগেন্দ্রনাথ হেমব্রমকেও জনসংযোগ বাড়ানোর নির্দেশ দেন। ভালভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন ডা. সুকুমার হাঁসদাকে। পরে মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়গ্রাম শহর তৃণমূল সভাপতি কাউন্সিলর প্রশান্ত রায়কে বলেন-“তুই ভাল্ভাবে কাজ কর। তোর বিষয়টা আমি দেখছি।” একই সঙ্গে তিনি জেলাপরিষদের সকল সদস্য থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের ভালভাবে এলাকার উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান। গ্রামে গিয়ে জনসংযোগ বাড়ানোর কথা বলেন।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট