উত্তর দিনাজপুর: যখনই দুর্গাপূজা আসে তখনই মাস্টারমশাই হারায়ে যায় উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এর চাঁদ বাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর, এমনটাই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এ যেন পিসি সরকারের জাদুর মত। আবার পরে আপনা আপনি ফিরে আসে সেই শিক্ষক স্কুলে। কিন্তু এবার এখনো ফিরে আসেনি সে শিক্ষক। আর যখন তিনি প্রতিবারই স্কুলের সামনে এসে হাজির হন তখন তাকে আবার গ্রামবাসীদের নাকি শাস্তির মুখে পড়তে হয়।
গতবার নাকি গ্রামবাসীরা এই শিক্ষককে কান ধরে উঠবস ও করেছিল বলে গ্রামবাসিরা দাবি করে। তবে যাই হোক না কেন এমন শিক্ষক যেখানেই থাকুক না কেন তা বর্তমান সমাজের কাছে একটা লজ্জা, যে শিক্ষকের নাম নিয়ে আজকের খবরের বিষয় সে শিক্ষক হলেন কালিয়াগঞ্জ চাঁদ বাড়ি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কুমার রায়। জানা যায়, এই শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকলেও তিনি বেমালুম ভুলে গেছেন। তিনি এই পদে আসীন আছেন শুধু একবার নয় তিনি বছরের পর বছর ধরে এমন ধরন কাজ করে চলছেন।
যার ফলে আজ গ্রামবাসীরা থাকতে না পেরে গর্জে উঠে স্কুলে তালা লাগিয়ে দিলেন। জানা যায়, কালিয়াগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন চাঁদ বাড়ি নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয় মোট 62 জন ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করতে আসে। ভান্ডার শ্রীকৃষ্ণপুর চাঁদ বাড়ি ও মির্জাপুর থেকেঝা চকচকে প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে মিড ডে মিল এর সমস্ত সরঞ্জাম। কিন্তু স্কুলে নেই কোন শিক্ষক। দিনের পর দিন তাই চি চিং বন্ধ করে দিলেন গ্রামবাসীরা। বাধ্য হয়ে, স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে জানা যায়। এই স্কুলে দুই জন শিক্ষকের মধ্যে একজন আর একজন অসুস্থ।
আর একজন দিদিমণি রয়েছে বটে তিনি আবার নাকি সব সময় বিভিন্ন ট্রেনিং নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। প্রায় সময়ই এমন অবস্থায় স্কুলের মিড ডে মিল বন্ধগ্রামবাসীরা তাদের অভিযোগের কথা বার বার ব্লক প্রশাসন ও স্কুল পরিদর্শক কে জানালেও স্কুল পরিদর্শক এ ব্যাপারে গ্রামবাসীদের কথার কোন কর্ণপাত না করলেও কালিয়াগঞ্জ এর ভিডিও প্রসুন কুমার ধারা অবশ্য একদিন স্কুলে গিয়ে অবস্থা বেগতিক দেখে পঞ্চায়েত প্রধানের ওপরই দায়িত্ব দিয়ে আসেন। স্কুলের মিড ডে মিল চালু রাখতে হবে। কিন্তু তিনি নির্দেশ দিলে কি হবে, স্কুলে তো মাস্টারি আসেন না দিনের পর দিন।
স্কুল খুললে না মিড ডে মিল খাবে গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা তাই ভিডিওর নির্দেশও বর্তমানে খাতায় কলমে সীমাবদ্ধ হয়ে রয়েছে। গ্রামবাসীরা জানান স্কুল চত্বরের যতক্ষণ বিয়াই না এসে স্কুলের সমস্যার সমাধান করবে ততক্ষণ তারা আর তালা খুলবেন না। পাশাপাশি গ্রামবাসীরা আরও জানান তাদের বাচ্চাদের একন স্কুলের টিসি নিতে ভীষণ সমস্যা হচ্ছে পাশাপাশি গ্রামবাসীরা জানান তাদের অনেক বাচ্চাকে এই স্কুলে ভর্তি করে অন্য স্কুলে এখন পড়াচ্ছে কারণ একটাই এই স্কুলে এখন পড়াশোনা লাটে উঠে গেছে।