হাওড়া জেলায় প্রায় ৩০০ টি স্কুলকে ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন


শনিবার,০৫/০১/২০১৯
390

আক্তারুল খাঁন---

হাওড়া: পিরিয়ড চলার সময় স্কুলে ছাত্রীদের যাতে সমস্যা না পড়তে হয় সেজন্য ন্যাপকিন সরবরাহ করছে সমগ্র শিক্ষা মিশন (সর্বশিক্ষা মিশনের বর্তমান নাম)। কিন্তু বহু স্কুলে দেওয়া হয়নি ন্যাপকিন নষ্ট করার মেশিন বা ডিসপোজাল মেশিন। এর জেরে আবার নতুন সমস্যায় পড়ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, প্রথাগত পদ্ধতিতেই সে গুলোকে নষ্ট করতে হচ্ছে তাদের। এর জন্য অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে তাদের। অভিযোগ অনেকে আবার সেগুলো পুড়িয়ে নষ্ট করছে। তাছাড়াও সময়মত সেগুলো নষ্ট করতে না পারার ফলে ব্যবহিত সেই ন্যাপকিনগুলো বহুদিন পড়ে থাকছে। এতে বাড়ছে দূষণও, তা স্বীকার করেছেন প্রশাসনিক কর্তারাও।

সমগ্র শিক্ষা মিশন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্রীদের ঋতু চলাকালীন সমস্যার কারণে বহু ছাত্র স্কুলে যায় না।সেই সমস্যা সমাধানের সমগ্র শিক্ষা দপ্তর স্কুলে স্কুলে ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন দেওয়ার পরিকল্পনা করে। গত বছর থেকে তারা হাওড়া জেলার বিভিন্ন স্কুলের স্কুলে ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন দেওয়া শুরু করেছে। এর ফলে স্কুলে থাকা ঐ মেশিনের মাধ্যমে ছাত্রীরা প্রয়োজনীয় ন্যাপকিন পেতে পারছে। হাওড়া জেলা পরিষদের মাধ্যমে স্কুলে স্কুলে দেওয়া হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ের ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন দেয়া হয়েছে ১৭০ টি হাওড়া জেলার বিভিন্ন স্কুলে।

দ্বিতীয় পর্যায়েও হাওড়া জেলার আরও ১২০ টি স্কুলে ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন দেওয়া শুরু করেছে সমগ্র শিক্ষা মিশন। কিন্তু ন্যাপকিন ডিসপোজাল মেশিন দেওয়া হয়েছে মাত্র ৫০ টি স্কুলে। অন্য সমস্যা তৈরি হচ্ছেন ন্যাপকিন ডিসপোজাল মেশিন না থাকার কারণে। কয়েকটি স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন তারা সে গুলোকে প্রথাগত পদ্ধতিতেই নষ্ট করছে। অভিযোগ সময় মতো লোক না পাওয়া গেলে বহু দিন সেগুলো স্কুলের শৌচালয়ে পড়ে থাকছে। ফলে সমস্যা তো অবশ্যই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাগনানের একটি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা।

Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট