ঝাড়গ্রাম: নেতাই-কাণ্ডের অষ্টম বর্ষপূর্তি আজ, সোমবার। গ্রামের শহিদবেদি প্রাঙ্গণে স্মরণ অনুষ্ঠানের মূল বক্তা সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। নেতাই শহীদ বেদীতে মালদান করেন শুভেন্দু অধিকারী,চূড়ামণি মাহত, দুলাল মুর্মু,মাধবী বিশ্বাস, উত্তরা সিং হাজরা, সুকুমার হাঁসদা, অজিত মাইতি সহ তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা। এই নেতাই-কাণ্ডকে হাতিয়ার করেই ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে জঙ্গলমহলে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছিল তৃণমূল।
শুভেন্দুবাবু তাঁর ভাষণে বলেন আমি মোমবাতি প্রজ্বলন করে শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে আপনাদের কাছে এসেছি। ডাক দিয়েছেন দিদি মমতা ব্রিগেড় চল জনতা, ডাক দিয়েছেন দিদি মমতা ব্রিগেড় ভরাবে জনতা, কালকে বাৎসরিক উৎসবের মত আবার বামপন্থিদের সেই ভোঁতা অস্ত্র বন্ধ করবো আবরোধ করবো কোন ইতিবাচক কাজ নেই যেগুলো আছে সেগুলো আবার রুখতে হবে সবাইকে নিয়ে তাই অনেক কাজ আছে।
আমি আজকে এখানে এসেছি শুধুমাত্র শহিদ পরিবারগুলিকে আমি সন্মান জানিয়ে তাদের গায়ে শীতের চাদর তুলে দিতে,এটা এমন কিছু নয় আমি তাদের গায়ে একটা চাদর দিয়ে ও একটি ফুল দিয়ে বলতে চাই বছরের ৩৬৫ দিন দিদির একজন সৈনিক হিসাবে বিগত দিনে যে ভাবে আছি আজকেও আপনাদের সঙ্গে আছি এই জানান দেওযার জন্য প্রত্যেক বছর আমি এখানে আসি, এটি আমার আষ্টম বর্ষ। আজকে এই পরিবার গুলি কেমন আছে কি কিরছে তার খবরতো কেউ রাখেনা কিন্তু তারা ক্ষমতায় আসতে চায়, যারা সি পি আই এমের গুন্ডা চার্জসিট হয়েছে ২৫ জনের নামে ঝাড়গ্রাম আদালতে আপনারা জানেন।
সেই চার্জসিট যাদের নামে হয়েছে ডালিম পান্ডে,অনুজ পান্ডে,খলিলুদ্দিন ,ফুল্লরা মন্ডল,অশ্বিনী চালক সহ যে সমস্ত গুন্ডা খুনিরা বিগত দিনে সি.পি.আই.এম. পার্টি করে এই গ্রামে অত্যাচার চালিয়েছে এবং এই লোকগুলো এখন জানা বদলে ভারতীয় জনতা পার্টিতে নাম লিখিয়েছে। এদের উদ্দেশ্য এলাকার উন্নয়ন করা নয়, এদের উদ্দেশ্য মানুষের ভাল করা নয়, এদের উদ্দেশ্য বেকার যুবকের মুখে হাঁসি ফোটানো নয় এদের উদ্দেশ্য একটাই তৃনমুল কংগ্রেসকে ক্ষমতা থেকে সরাও এবং দিদির জনপ্রিয়তা তিনি আজকে বাংলা ছাড়িয়ে যে দেশনেত্রী হয়েছেন। তার নেতৃত্বে ১৯ সালে যে পরিবর্তনের অপেক্ষায় আছে তাকে কিভাবে ছোট করা জায় অপদস্ত করা জায় এটাই হল ওদের একমাত্র এজেন্ডা।
২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক দু’মাস আগে ৭ ই জানুয়ারী অবিভক্ত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার লালগড়ের নেতাই গ্রামে রথীন দণ্ডপাটের বাড়িতে থাকা সিপিএমের সশস্ত্র ক্যাম্প থেকে গ্রামবাসীদের উপর এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় ৪ মহিলা সহ মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন প্রায় ২২ জন। ঘটনার সিবিআই তদন্তে সিপিএমের ২০ জন নেতা কর্মীর নামে অভিযোগ ওঠে।
রাজনৈতিক মহলের মতে রাজ্যে দীর্ঘ বাম শাসনের কফিনে শেষ পেরেক গেঁথে ফেলে এই নেতাই কান্ড।আর ঐ সরকারকে ঘুরে দাড়াতে হয়নি। মমতা ব্যানার্জী ছুটে আসেন নেতাই, নিহত ও আহতদের পাশে দাড়ান। নেতাই কে ভর করে রাজ্য রাজনীতি পুরো রং পাল্টে যায়। সারা দিকে সিপিএম সরকার কে বিষ নজরে দেখতে থাকে রাজ্যের মানুষ। আর ফিরে দেখতে হয়নি রাজ়্যের বিরোধী তৃণমূল কংগ্রেস কে।
Best Deals starting from 149
Best Deals on BISS products
Best Deals starting from 129
Cases and Cover starting from 119
Offers on Pet Food
Backpacks and Travel Accessories from Fur Jaden starting Rs. 299
High On Features Low on Price: Smart Watches from Gionee & More