ঋণ পেতে গেলে দিতে হয় ঘুষ তবুও মেলেনা ঋণ


বুধবার,১৬/০১/২০১৯
427

বাংলা এক্সপ্রেস---

স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দলের মহিলাদের ঋণ পেতে গেলে দিতে হয় ঘুষ তবুও মেলেনা ঋণ। তাছাড়া স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের অন্ধকারে রেখে দলের কাজ করছে না করছে দলনেত্রী এমন সব সমস্যা নিয়ে আজ ক্ষোভ প্রকাশ করে উত্তর দিনাজপুর জেলার গ্রাম পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখালেন কয়েকশো স্বনির্ভর দলের মহিলারা। তাদের অভিযোগ সরকার থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নানান রকম সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হলেও আদতে এই সুযোগ কিছু স্বার্থন্বেষী মানুষরাই পেয়ে যাচ্ছে। আর লোন পেতে গেলে প্রতিনিয়ত দিতে হয় ঘুষ। শুধু তাই নয়, এর সাথে ব্লক প্রশাসনের একাংশ জড়িত তাই তাদের স্বনির্ভর বলা হলেও আদতে তারা এখন স্বনির্ভর বলে মনে করেন না।

এদিকে আজকে যখন মহিলারা বিক্ষোভ দেখান, সেই সময় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর নির্বাচিত বোর্ডের 2 সদস্য সেখানে হাজির হলে তাদের মহিলাদের বিক্ষোভ সামনে শিকার হতে হয়। মহিলাদের বক্তব্য এর পিছনে এই সদস্যরাও দায়ী। অন্যদিকে এই ঘটনার পর 10 গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বীরেন রায় জানান তিনি কিছুদিন হলো এই দায়িত্বে এসেছেন। তিনি মহিলাদের সমস্ত সমস্যার কথা শুনেছেন।

তিনি এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন, যাতে এই সমস্যার সমাধান করা যায়। এদিকে যখন বিক্ষোভ হয় সে সময় খবর পেয়ে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সুপারভাইজার ঋতু মিতা রায় জানান, স্বনির্ভর দলের মহিলারা যে অভিযোগ করছেন বর্তমানে ব্যাংক থেকে কোন ঋণ দেওয়া হচ্ছে না ঋণ যদি ব্যাংক দেয় তাহলে তাদের দিতে আপত্তি কোথায়? তা ছাড়া তিনি বলেন, পুরনো যে নির্বাচিত বোর্ড রয়েছে সেই বোর্ড ভেঙে নতুন ভাবে নির্বাচিত বোর্ড আবার গঠন করা যায় সে ব্যাপারে তিনি উদ্যোগ নেবেন।

অপরদিকে বিজেপি নেতা জানান আজকে তৃণমূল বাংলার মানুষকে ফাকি দিয়ে মা ও বোনদের উন্নয়নের টাকা কামড়ে খেতে চাইছে, যার ফলে মেয়াদ পার হয়ে যাওয়ার পরেও রাজ্য প্রশাসন তৃণমূলের চাপে প্রধান সাহেব কে অন্ধকারে রেখে মা বোনদের যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পরিচালনার যে বোর্ড রয়েছে তা চেঞ্জ করছে না। কারণ তৃণমূল জানে এই বোর্ডের সম্পাদিকা বডি যদি চেঞ্জ হয় তাহলে তাদের ঝুলি থেকে তৃণমূলের বড় কামতা চলে যাবে, এ জন্য কোন লোকাল প্রশাসনের হেলদোল নেই। এদিকে বিক্ষোভ চলাকালীন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা তাদের এই গ্রাম পঞ্চায়েতে জন শিক্ষা কেন্দ্রে তালা লাগিয়ে দেয়।

Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট