ঝাড়গ্রাম জেলার প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের পড়াশুনার দ্বায়িত্ব নেবে শিক্ষাদপ্তর : পার্থ চ্যাটার্জী


সোমবার,২৮/০১/২০১৯
486

কার্ত্তিক গুহ---

ঝাড়গ্রাম: স্কুল কলেজে যদি কোন ছাত্র-ছাত্রী এই জেলায় উন্নত মানের ক্রীড়াশৈলি প্রকাশ ঘটাচ্ছে, তাহলে তাঁদের জন্য আলদা করে নাম আমাদের দপ্তরে দেওয়া হলে আমরা তাঁদের পড়াশুনার দায়িত্ব নেব। ঝাড়গ্রাম জেলার জাম্বনী হাইস্কুল মাঠে জঙ্গলমহল ক্রীড়া উৎসবের পুরষ্কার বিতরনী সভাতে এসে এই মন্তব্য করলেন পার্থ চ্যাটার্জী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উৎসাহ দিচ্ছেন। কিন্তু আতিরিক্ত ভাবে আমরা এটা করতে চাই।

অনেকে পড়াশুনায় ভালো নয়, কিন্তু খেলায় খুবই ভালো। অনেকে পড়াশুনায় মাঝামাঝি আবার তিরন্দাজি ও ফুটবল খেলায় সাংঘাতিক। পড়াশুনার পাশাপাশি ওয়ার্ক এডুকেশন, ফিজিকেল এডুকেশন, স্পোর্টস এই তিনটিতে আমরা জোর দিই। জঙ্গলমহলে খেলার প্রতি যে সক্রিয়তা রয়েছে। পার্থ আরো বলেন, একসময় এই সব এলাকায় রাস্তা দিয়ে ঢোকা যেত না। এালাকায় অশান্তির বাতারবণ ছিল।

রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। আজকে মানুষ শান্তিতে রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে শান্তির দূত হয়ে সামগ্রিক উন্নয়নে এগিয়ে এসেছে যার ফল হল এতবড় একটি অনুষ্ঠান। সমাজের অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া লোকদের মধ্যে প্রচুর মেধা রয়েছে। সেই মেধাকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। সেই কারণে পুলিসের ভূমিকা শুধুমাত্র ‘দুষ্টের দমন শিষ্টের’ পালন নয়। তাঁরা যে সমাজকে তৈরি করতে পারে, তাঁর দৃষ্টান্ত হল এই অনুষ্ঠান।

মন্ত্রী বলেন, স্কুল কলেজে যদি কোন ছাত্র-ছাত্রী এই জেলায় উন্নত মানের ক্রীড়াশৈলি প্রকাশ ঘটাচ্ছে, তাহলে তাঁদের জন্য আলদা করে নাম আমাদের দপ্তরে দেওয়া হলে আমরা তাঁদের পড়াশুনার দায়িত্ব নেব। মন্ত্রী আরও বলেন, এলাকায় স্কুল বাড়ছে। মাধ্যমিক স্কুল উচ্চমাধ্যমিক হচ্ছে। ঝাড়গ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ হচ্ছে। সরকার এগিয়ে এসে অলচিকি ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পযর্ন্ত পাঠ্যপুস্তক করেছে, আবার স্নাতকস্তর পর্যন্ত হবে।

ক্রীড়াক্ষেত্রে যারা উৎকর্ষতার পরিচয় দিচ্ছে তাঁদের স্বীকৃতি দিচ্ছে রাজ্য সরকার আরও বাড়ুক। মানুষের পেটে কাজ থাকুক, উন্নয়ন বাড়ুক। শান্তিতে যেন থাকতে পারি, শান্তিতে যেন রাখতে পারি। নিজে ভালো থাকবেন, আর ভালো রাখবেন। নাম না করে বিরোধীদের কটাক্ষ করে মন্ত্রী বলেন, অনেকে আছে ভালো দেখতে পারে না। দেখতে চায় না। নিজেরা ভালো করতে পারেনি সুতরাং অপরকে ভালো করতে দিও না। আমাদের সম্মিলিত ভাবে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে।

পুলিস সুপার অরিজিৎ সিনহা বলেন, ২০১২ সালে শুরু হয়েছিল এই খেলা। প্রথম বছর ৫০০টি টিম ও ৯২০০ খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করেছিল। প্রত্যেক বছর এই খেলায় খেলোয়াড়দের সংখ্যা বাড়ছে। এবছর ৮৫০টি টিম ১৫ হাজার ৫২২ জন যোগ দিয়েছিল। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে দিনের পর দিন মানুষের উদ্দীপনা ও উৎসাহ বাড়ছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৫২ জনকে সিভিক ভলান্টিয়ারে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

তারমধ্যে ৩৯টি নিয়োগ হয়েছে। বাকীদের বয়সের কারণে দেওয়া সম্ভব হয় নি। আগামী দিনে তাঁদের বয়স হলে চাকরি দেওয়া হবে। পুলিস সুপার আরও বলেন, বর্তমানে লালগড়ে ফুটবল অ্যাকাডেমিতে ৫০ জন ট্রেনিং নিচ্ছে। এরমধ্যে একজন জার্মানিতে ট্রেনিং দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। থানা ভিত্তিক অনুর্ধ্ব-১২ বছর দের নিয়ে একটি ফুটবল টিম তৈরি করা হবে।

এরমধ্যে সেরা ১৫ থেকে ২০জনকে নিয়ে একটি টিম করা হবে। তাঁদের লালগড়ে সমস্ত ট্রেনিং দেওয়া হবে। কলকাতা পুলিস ফুটবল অ্যাকাডেমিতে ঝাড়গ্রাম জেলার দু’জন সুযোগ পেয়েছে। তাঁদের পড়াশলনার থাকা, খাবার ব্যবস্থা বিনামূল্যে করা হয়েছে। পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই। অধ্যাবসায় থাকতে হবে। রাতারাতি কেউ বড় হয় নি। সৎ ভাবে এগোতে হবে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট