যাদবপুর: কেন্দ্রের সাম্প্রদায়িক শক্তি মোদি সরকারের বিরুদ্ধে রমজান মাসে রোজা রেখে ভোট দেওয়া অত্যন্ত পবিত্র কাজ বলে মন্তব্য করলেন কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, রমজান মাসে আমরা রোজা রাখি অনেক ভালো কাজ করি। তার মধ্যে একটি ভালো কাজ হল বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া। কারণ তারা যেভাবে ধর্মে ধর্মে বিভেদ সৃষ্টি করছে ।তাই তাদেরকে সরানো এই মুহূর্তে দেশের জন্য সবচেয়ে বড় কাজ।মঙ্গলবার ভাঙড় ১এ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কাইজার আহমেদের ডাকে এদিন ভাঙড় কলেজ মাঠে কথাগুলি বলেন ফিরহাদ।
ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, আমি খুব ভালো মানের ছাত্র ছিলাম না। অনেকের খাতা দেখে টুকে টুকে লিখতাম। কিন্তু এই প্রথম দেখলাম ভারতবর্ষের কোন প্রধানমন্ত্রীকে টুকলি করতে। যিনি মমতা ব্যানার্জির ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্প ‘বাংলা স্বাস্থ্য সাথী ‘প্রকল্প টুকলি করে ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্প ও ‘আয়ুষ্মান ভারত’প্রকল্প শুরু করেছেন।তিনি বলেন,নরেন্দ্র মোদি বলছেন মমতা ব্যানার্জি স্পীডব্রেকার।আমি বলছি স্প্রীড বেকার কাকে বলে মোদি বাবু আপনি জানেন।আপনার আগে আমরা বাংলায় যে প্রকল্প গুলি শুরু করেছি।তাতে বাংলার মানুষ সুবিধা পাচ্ছে।তাই আপনাদের কোন প্রকল্প আমরা চাই না।
ফিরহাদ বলেন,বিজেপির কাছে গরুর দাম আছে,মানুষের দাম নেই।উত্তর প্রদেশসহ সারা দেশে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করা হচ্ছে।হিন্দু-মুসলিমকে আলাদা করে দেখা হচ্ছে।বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা ভারতে আসলে বলা হচ্ছে শরণার্থী।আর মুসলিমরা আসলে বলা হচ্ছে অনুপ্রবেশকারি।
ফিরহাদ হাকিম বলেন,মোদিজিকে দেখে দেশের মানুষ ভয় পান।আর মমতা দিদি মানুষকে দেখে ভয় পান।মোদিকে দেখে মানুষ পালিয়ে যায়,আর দিদিকে দেখে তৃণমূলের কর্মীরা পালিয়ে যায়।কারণ দিদি সব সময় খোজ নেন,পঞ্চায়েত সদস্য,কাউন্সিলারদের।সাধারণ মানুষ খাদ্য সাথী পেয়েছে কিনা,স্বাস্থ্য সাথী পেয়েছে কিনা,বাংলা আবাস যোযনার বাড়ী পেয়েছে কিনা।কারণ মমতা ব্যানার্জি একমাত্র মানুষকেই ভয় পায়।তাই তিনি মানুষের কোন অসুবিধা আছে কিনা খোঁজ রাখেন।
এদিন মন্ত্রী তথা ভাঙড়ের বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা বলেন, শুধুমাত্র মমতা ব্যানার্জি একাই কেন্দ্রের স্বৈরাচারী মোদি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। তার সেই লড়াইয়েকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা ভাঙড়ের সব নেতৃত্ব ঐকবদ্ধ। আমরা জাল ফেলে দিয়েছি এবার জাল চাপবার পালা। আমাদের জালে কোন ফুটো নেই তাই কেউ তলা মারতে পারবে না। আর কেউ যাতে তলা মারতে না পারে সেটা আমাদের দেখতে হবে। এবং মিমি চক্রবর্তীকে ভাঙড় থেকে ব্যাপক ব্যবধানে যেতাতে হবে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্রে একজন আছেন যিনি বলছেন আমার ৫৬ ইঞ্চি ছাতি। ৫৬ ইঞ্চি ছাতি যদি হয় তাহলে হাতির সঙ্গে গিয়ে লড়াই করুন। মানুষের জন্য আপনার কিছু করার নেই।
প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী বলেন,আমরা সবাই মিলে একসাথে কাজ করব।আমি একা কিছু করতে পারব না।একা একশ শুধুমাত্র মমতা দিদি।বাকি সব আমরা সাধারণ কর্মী।আমি আপনাদের সকলের দুয়া ও আর্শীবাদ নিয়ে এগোতে চাই।মিমি অবশ্য এদিন কিছুটা মেজাজ হারিয়ে ফেলেন।তাঁর বক্তব্য চলাকালিন কিছু লোক সভা ছেড়ে চলে যাচ্ছিলেন।তখন মিমিকে রেগে গিয়ে বলতে শোনা যায় আপনারা চলে যাচ্ছেন কেন?শুধু আমাকে দেখতে এসেছিলেন?বক্তব্য শুনতে আসেন নি।তারপর তিনি বলেন ঠিক আছে যাদের বক্তব্য শুনতে ভাল লাগেনা তারা চলে যান।
এদিনের সভার আহ্বায়ক কাইজার আহমেদ বলেন,ভাঙড়ে পানীয় জলের কিছু সমস্যা রয়েছে।রাস্তাঘাটের সমস্যাও রয়েছে।তাই তিনি এদিন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীর কাছে বলেন,ভাঙড়ে বিভিন্ন সমস্যা একটু বেশি আছে।তাই তাঁর দাবী অন্য বিধানসভার থেকে ভাঙড়ে বেশি পরিমাণ বরাদ্দ করতে হবে।কাইজারের এই দাবীকে সাধারণ মানুষ দুহাত তুলে সমর্থন করেন।
Best Deals starting from 149
Best Deals on BISS products
Best Deals starting from 129
Cases and Cover starting from 119
Offers on Pet Food
Backpacks and Travel Accessories from Fur Jaden starting Rs. 299
High On Features Low on Price: Smart Watches from Gionee & More