সেনাবাহিনীকে ভোটের স্বার্থে ব্যবহার করায় বিজেপির কঠোর সমালোচনা করলেন দেব


বৃহস্পতিবার,১১/০৪/২০১৯
552

বাংলা এক্সপ্রেস---

সেনাবাহিনীকে ভোটের স্বার্থে ব্যবহার করায় বিজেপির কঠোর সমালোচনা করলেন দেব। ঘাটাল লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী অভিনেতা দেব ওরফে দীপক অধিকারী সোমবার পিংলার সভা থেকে একের পর এক তুলনা টেনে বিজেপিকে তুলোধোনা করেন। যে বিষয়গুলি নিয়ে এর আগে বহুবার দেশের রাজনীতিতে ঝড় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এদিন সেই কথা ক্ষোভের সঙ্গে ঝরে পড়ে দেবের গলা থেকে।

তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘ যে দল সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে মানুষের কাছে ভোট চাইছে সেই বিজেপির দেশ শাসনকালে সবথেকে বেশি খারাপ সময় গেছে সেনাবাহিনীর। সবথেকে বেশি সেনা জওয়ান কে শহীদ হতে হয়েছে। ‘ বিজেপির হাতে দেশও সুরক্ষিত নয় আর মহাকাশও সুরক্ষিত নয় এই অভিযোগ করে তিনি প্রশ্ন তোলেন , ‘ আপনারা বেকারত্ব নিয়ে কি করেছেন ? দারিদ্রতা দূর করতে কি করেছেন?

কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য কি করেছেন ? ‘ তাঁর কথা শেষ হওয়ার আগেই কর্মী সমর্থকরা আওয়াজ তোলেন, ‘ এই বিজেপি আর না , আর না ‘। হাততালিতে ভরে যায় সভাস্থল। বাংলা সিনেমার এই ব্যস্ত নায়ক শ্যুটিং এর কাজে সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরেছেন। সেই অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘ অন্য রাজ্যের এমন অনেক গ্রাম আছে যেখানে এখনো বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি। রাস্তা ভালো নয়। পানীয় জল আনতে বহু দূর যেতে হয়। বাংলায় এমন কোনো গ্রাম নেই যেখানে গেলে এই চিত্র ধরা পড়বে। ‘

জাতপাতের রাজনীতি, ধর্মের রাজনীতি, কুৎসা, হিংসার রাজনীতি তিনি পছন্দ করেননা। তাঁর কাছে তিনি ভারতীয় এটাই সবথেকে বড় ধর্ম। যতদিন না একটা দেশ, ধর্ম, জাতপাত, হিংসা, ভেদাভেদ এসব থেকে বেরিয়ে আসতে না পারবে, এসবকে কাজে লাগিয়ে ভোট চাইতে না পারবে ততদিন দেশ এগোবে না। পিছিয়ে পড়বে। এজন্যই ব্রিটিশ রাজত্বের ২০০ বছর আর স্বাধীনতা লাভের ৭০ বছরে দেশ সেই জায়গায় পৌঁছেতে পারেনি যেখানে অন্য দেশ পৌঁছে গেছে।

এই কেন্দ্র সরকারের আমলে কাশ্মীর উপত্যকার যুবকেরা সবচেয়ে বেশি অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছে দেশের বিরুদ্ধে। এদিনের সভা থেকে বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকে আক্রমন করেন রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘ ভোট যত এগিয়ে আসছে বাংলায় ৪২ এ ৪২ হচ্ছে দেখে ওনার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। জন্ডিস হয়ে গেছে। তাঁদের দল উগ্রপন্থা, হিংসাকে প্রশ্রয় ও মদত দেয়। বাংলার রাজনীতিতে এসবের কোনো ঠাঁই নেই।’

Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট