মারধর ও তোলাবাজির অভিযোগ ভাঙড় থানার পুলিশের বিরুদ্ধে


সোমবার,০৬/০৫/২০১৯
608

নিজস্ব প্রতিবেদক ---

বাংলা এক্সপ্রেস ডেক্স, ভাঙড়:তোলাবাজির মতো মারাত্মক অভিযোগ উঠল ভাঙড় থানার পুলিশের বিরুদ্ধে।ছবি তুলতে গেলে ভেঙে দেওয়া হয় এক ব্যাক্তির মোবাইল। মারধরের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের।মারধরের পরে ওই ব্যক্তিকে আটকও করে পুলিশ। আটক ব্যাক্তি রাষ্টীয় পরিবহণ সংস্থার কর্মচারী। তার বাড়ী উত্তর ২৪ পরগণার হাসনাবাদ।

ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার দুপুরে।ঘটনাস্থল বাসন্তী হাইওয়ের ভোজেরহাট সাউথ সিটির সামনে।এদিন ভাঙড় থানার পুলিশের এএসআই নিরঞ্জন দাস কয়েকজন সিভিক ভলেন্টিয়ারকে সঙ্গে নিয়ে গাড়ী ধরছিল। কাগজপত্র ঠিকঠাক না থাকলে টাকা আদায় করা হচ্ছিল বলে এলাকার মানুষের অভিযোগ।নিরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে এর আগেও এই ধরণের একাধিক অভিযোগ রয়ছে বলে এলাকার মানুষ জানিয়েছে।

এদিন কোলকাতাগামী সরকারী যাত্রীবাহী একটি বাস আটকায় পুলিশ। দেখতে চাওয়া হয় গাড়ীর কাগজপত্র।তখন যাত্রীরা প্রতিবাদ করেন। বলেন সরকারী বাসকে কেন হেনস্থা করছেন। আমরা কোলকাতায় যাব ছেড়ে দিন।
পুলিশ যাত্রীদের কথায় কান না দিয়ে কাগজপত্র দেখতে চেয়ে অনড় থাকে। সেসময় একযাত্রী পুলিশের কার্যকলাপ ভিডিও রেকর্ডিং করছিলেন। পুলিশ তাঁর মোবাইলটি কেড়ে নেয় এবং তাঁকে আটক করে নিয়ে যায়। ঘটনায় বাসন্তী হাইওয়েতে তীব্র যানযটের সৃষ্টি হয়। সমস্যায় পড়েন অনেকে।

পুলিশ এদিন দাবী করেন যাকে আটক করা হয়েছে সে আগে এক সিভিককে আক্রমণ করে। আটক ব্যাক্তি এবং স্থানীয়রা পুলিশের উপর আক্রমণণের কথা অস্বীকার করেছে। তাদের দাবী শুধুমাত্র ভিডিও রেকর্ডিং করার অপরাধে মারধর এবং গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুদ্ধ অন্যযাত্রী এবং স্থানীয়রা প্রতিবাদ করেন।আরও অনেকে মোবাইলে ভিডিও রেকর্ডিং করতে থাকে। জানতে চায় পুলিশ ও সিভিকের নাম। আটক ব্যাক্তিকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে,কেন তাকে মারধর করা হল ধেয়ে আসে এসব প্রশ্ন। পুলিশ কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে কার্যত ঘটনাস্থল ছেড়ে পালায়।

এবিয়ে ভাঙড়ের সিআই এবং ওসিকে ফোন করা হয়। দুজনের কেউই ফোন ধরেননি। এলাকায় হালকা উত্তেজনা রয়েছে।

বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার রশীদ মুনীর খান বলেন, “রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার একটি বাস এক মারুতি ভ্যানকে ধাক্কা মারে। সেজন্য পুলিশ গাড়ীটিকে আটকায়। তোলাবাজির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। “

Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট