প্রেমের ছ্যাঁকা -এন.কে.মণ্ডল (দ্বিতীয় পর্ব)


শনিবার,০৫/১০/২০১৯
2183

প্রেমের ছ্যাঁকা -এন.কে.মণ্ডল
(দ্বিতীয় পর্ব)

Affiliate Link কলকাতার খবর | Kolkata News

রোহান কিছুক্ষণ পরে উঠেই উঠে সুন্দরী মেয়েটার কাছে খমা চাইতে লাগলো। এবং বলল সরি সরি আই এম এক্সটিমলি সরি মাই ডিয়ার নিউ ফ্রেন্ড।
মেয়েটি শুধুমাত্র ওকে (OK) বলে ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেলো এবং রোহান ক্লাসে প্রবেশ করল।রোহান কয়েকটি ক্লাস করে বাড়ি ফিরলো।

রোহান প্রতিদিন ঠিকঠাক মতো পড়াশোনা ও ভার্সিটি যাই।
বিকেল বিকেল নানান জায়গা ভ্রমণ করে চারিদিক পরিচিত বাড়াতে থাকে।এবং একটি পার্কে সঁন্ধার সময় নিয়মিত গিয়ে বসে বসে সময় কাটায়। ভালো লাগে। সাছন্দে দিন কাটতে থাকে রোহানের। কয়েকজন ভালো বন্ধু বান্ধবীও হয়েছে ভার্সিটিতে এবং ফ্লাটের আসেপাশে, তাতে কয়েকজন বাংলাদেশীও আছে। তাঁর মধ্যে সুমিয়া আছে। সুমিয়া বলতে যে মেয়েটির সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছিলো ভার্সিটির ক্লাসের গেটে। সুমিয়ার সঙ্গে রোহানের বিশেষ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে কয়েক মাসের মধ্য। দুজন দুজনকে ভালোবাসে। তাঁরা দুজনে ক্লাসের সবচেয়ে স্টার ও জুটি।

সুমিয়ার সঙ্গে প্রেম করার পর থেকে রোহানের।পকেট সর্বদা খালি হতেই থাকছে। সুমিয়ার নানান আবদার,ইচ্ছা,শখ মেটাতে পুরো বিল রোহানকেই মেটাতে হয়। এজন্য রোহানের কিছু মনে হয় না। কারণ গ্রাম থেকে বাবা টাকা পাঠিয়ে দেয়। রোহানের বাবা একজন হাইস্কুল টিচার।
কিন্তু কয়েকমাস পর রোহানের বাবা রিটায়ার্ড করে এবং টাকা কম দিতে থাকে প্রতিমাসে। আর এখন তা দিয়ে রোহানের ভালো দিন কাটছে না। তাই বন্ধুদের পরামর্শে টিউশনি করাতে শুরু করে এবং তা দিয়ে ভালোভাবে আনন্দের সহিত দিন চলে যাচ্ছে এবং বাবার কাছে আর টাকা নেয় না। বোনের বিয়ের জন্য রাখতে বলে রোহান।

কিছুদিন চলার পর——————

একদিন একটি পার্কে বেড়াতে গিয়ে একটি।গাছের তলায় বেঞ্চে বসে বসে গল্প করছে। এমন সময় হঠাৎ করে সুমিয়া বলে উঠল যে বাবা বলেছে যে রোহান যদি একমাসের মধ্যে কোনো।চাকরি না পায় তাহলে আমার বিয়ে দিয়ে দেবে এবং তা আমি বাবার মতের ছেলেকে বিয়ে করতে বাধ্য হব। তুমি একটু চেষ্টা কর প্লিজ।
রোহান মাথায় হাত বুলিয়ে সান্তনা দেয় আর বলে কোনো চাপ নিয়ো না আমি একমাসের মধ্য চাকরি পাওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করব।

রোহান চাকরির জন্য অনেক চেষ্টা করে চলেছে কিন্তু পাচ্ছে না,চাকরি কি অতই সোজা।

একমাস দশদিন পর————

এদিকে রোহানের কোনো চাকরি না হওয়ায় সুমিয়ে বিয়ে করতে চলেছে এক বড় চাকুরীজীবির সঙ্গে।

সেদিন ছিলো শুক্রবার পার্কের বেঞ্চে বসে ছিলো রোহান, এমন সময় সুমিয়া আসলো রোহানের কাছে। হাতে একটি লাল কার্ড ধরিয়ে দিয়ে বলল আগামীকাল আমার বিয়ে। বিয়েতে আসলে আমি খুশি হব। আর আমি একজন ভিকিরির সঙ্গে বিয়ে করতে পারলাম না। এই বলে কার্ডটি ধরিয়ে দিয়ে চলে গেলো। সুমিয়ার কথাগুলি শোনার পর হটাৎ করে রোহানের ডান পায়ের রগটা টান দিলো এবং ঘাড়টা বাঁকা হয়ে গেলো।
যে ছেলে কোনোদিন মুখে সিগারেট, মদ তুলে নি সেই ছেলে প্রেমে ছ্যাঁকা খেয়ে ঘাড় বাঁকা করে ফেলল।মাতাল হয়ে গেলো,পাগলের মত আচরণ করতে লাগল। কারো সঙ্গে কোনো কথা নেই, পরিক্ষায় ভালো রেজাল্টের বদলে ফেল করলো।সবার কাছে হাসির পাত্র হয়ে গেলো।

এন.কে.মণ্ডল

Affiliate Link Earn Money from IndiaMART Affiliate

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট