শুরু হল উত্তরণের জয়যাত্রা


সোমবার,০৯/১২/২০১৯
595

দুস্থ মানুষের সেবার সংকল্প নিয়ে যাত্রা শুরু হলো উত্তরণের। রবিবাসরীয় বিকালে কলকাতার মোহরকুঞ্জে বিভিন্ন পেশার বিভিন্ন বয়সের বেশ কয়েকজন মানুষ হাজির হয়েছিলেন। দুঃস্থ মানুষের সেবায় কিভাবে নিজেদের আত্মনিয়োগ করা যায় তা নিয়ে চলল দীর্ঘ আলোচনা। গড়ে উঠল নতুন সংগঠন “উত্তরণ”। যাঁর আহ্বানে এই মানুষগুলো উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি নেহাতই আটপৌরে এক গৃহবধূ। নাম জ্যোৎস্না দত্ত। কেন এমন ভাবনা? উত্তরে জ্যোৎস্নাদেবী জানালেন, বর্তমান সমাজ ব্যাবস্থায় আজও দেশের বহু মানুষকেই খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাতে হয়। শীতে গায়ে দেওয়ার মত গরম বস্ত্র পর্যন্ত কেনার সামর্থ্য তাদের নেই। খোদ কলকাতার ফুটপাথে অভাবের তাড়নায় শৈশব নষ্ট হচ্ছে।

প্রত্যন্ত গ্রামে না খেতে পেয়ে জরাজীর্ণ শরীরে মারা যাচ্ছে কত মানুষ। এসব দৃশ্য বড় কষ্ট দেয়। তাদের পাশে সামন্য সামর্থ্য নিয়ে সবাই যদি একটু একটু এগিয়ে আসে তাহলে সমাজ এগোবে। সেই ভাবনা থেকেই কিছু করার কথা ভাবি। স্যোসাল মিডিয়ার দৌলতে অনেকের সঙ্গেই আলাপ হয়। তাঁদের কেউ সাংবাদিক, সরকারি কর্মী, ব্যাবসায়ী বা আইনজী। আবার কেউবা চিকিৎসক বা কোন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য। নিজের ভাবনার কথা তাঁদেরকে জানাই। একসঙ্গে পথ চলতে রাজি হয়ে যান অনেকেই। রবিবার মোহরকুঞ্জে সবাই মিলিত হয়ে হাতে হাত রেখে আগামীতে চলার শপথ নিলাম। সকলের সহযোগিতায় উত্তরণ দুঃস্থ মানুষের সামগ্রিক বিকাশে কাজ করবে এই আমাদের অঙ্গীকার।

প্রথম দিনেই কর্মসূচি গৃহীত হয়েছে। আগামী ২৫ ডিসেম্বর শহরের শতাধিক ফুটপাথবাসীর হাতে তুলে দেওয়া হবে শীত বস্ত্র। আগামী দিনে প্রত্যন্ত এলাকাতেও পৌঁছে যাবে উত্তরণের টিম। জানালেন সংস্থার আহ্বায়ক জ্যোৎস্না দত্ত। তিনি আরও বলেন, একজন দুঃস্থ মানুষের দারিদ্রতা যেন তার উত্তরণের পথে বাধা না হয়ে দাঁড়ায়। সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলার শপথ নেওয়া হল জয়যাত্রার দিনে।

Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট