বাংলাদেশে ঘটা করেই শুভ বড়দিন পালিত


বৃহস্পতিবার,২৬/১২/২০১৯
1215

ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা: ২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্টানদের ঘরে ঘরে উত্সবের আনন্দধারা। বহুবর্ণ আলোকের রোশনাইয়ে ভেসে যাচ্ছে গির্জা, গৃহদুয়ার আর অভিজাত হোটেলগুলো। সাজানো হয়েছে গোশালা, ক্রিসমাস ট্রি আর বর্ণময় বাতি দিয়ে। ২৫ ডিসেম্বর, শুভ বড়দিন।পাপিকে নয়, ঘৃণা করো পাপকেআরঘৃণা নয়, ভালোবাসোএইসদা দীপ্ত রহে অক্ষয় জ্যোতিময়আহ্বান নিয়ে মানুষেরমনের রাজাযিশুখ্রিষ্ট এদিন আসেন এই পৃথিবীতে। তাই এই দিনে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ও নানা আনুষ্ঠানিকতায় পালন করছে তাদের এই সবচেয়ে বড়ো উত্সব। প্রভাতে গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা (খ্রিষ্টযোগ) হবে। সব বাড়িতেই থাকবে কেক, পিঠা, কমলালেবু, পোলাওবিরিয়ানিসহ বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু ও উন্নতমানের খাবারদাবারের আয়োজন। বেড়ানো, ধর্মীয় গান, কীর্তন, অতিথি আপ্যায়ন আর পরমানন্দে কাটাবেন তারা। ২৫ ডিসেম্বর সরকারি ছুটি। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন, বেসরকারি টিভি ও রেডিও দিবসের তাত্পর্য তুলে ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে।

Affiliate Link কলকাতার খবর | Kolkata News

সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, জাতীয় পার্টিজেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সম্প্রদায় পৃথক বাণীতে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, ঈশ্বরের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য একজন নারীর প্রয়োজন ছিল। সেই নারীই কুমারী মেরি, মুসলমানদের কাছে যিনি পরিচিত বিবি মরিয়ম হিসেবে। ধর্মবিশ্বাস বলে, ‘ঈশ্বরের অনুগ্রহে ও অলৌকিক ক্ষমতায়মেরি কুমারী হওয়া সত্ত্বেও গর্ভবতী হন। ঈশ্বরের দূতের কথামতো শিশুটির নাম রাখা হয় যিশাস, যা বাংলায়যিশু। ২৫ ডিসেম্বর থেকে ২ হাজার ১৪ বছর আগে জেরুজালেমের বেথলেহেম শহরের এক গোয়ালঘরে জন্ম হয়েছিল যিশুর। শিশুটি কিন্তু মোটেও সাধারণ শিশু ছিল না। ঈশ্বর যাকে পাঠানোর কথা বলেছিলেন মানব জাতির মুক্তির জন্য, যিশু নামের সেই শিশুটি বড়ো হয়ে পাপের শৃঙ্খলে আবদ্ধ মানুষকে মুক্তির বাণী শোনালেন।

তিনি বললেন, ‘ঘৃণা নয়, ভালোবাসো। ভালোবাসো সবাইকে, ভালোবাসো তোমার প্রতিবেশীকে, এমনকি তোমার শত্রুকেও। মানুষকে ক্ষমা করো, তাহলে তুমিও ক্ষমা পাবে। কেউ তোমার এক গালে চড় মারলে তার দিকে অপর গালটিও পেতে দাও।তিনি বললেন, ‘পাপিকে নয়, ঘৃণা করো পাপকে। গরিবদুঃখীদের সাধ্যমতো সাহায্য করো, ঈশ্বরকে ভয় করো।২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জায় বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। প্রচুর জরি লাগিয়ে গির্জার ভেতরে রঙিন করা হয়েছে। ভেতরে সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। গির্জার মূল ফটকের বাইরে ছোটোখাটো একটি মেলা বসেছে। মেলার দোকানগুলোতে বড়দিন ও ইংরেজি নতুন বছরের কার্ড, নানা রঙের মোমবাতি, সান্তা ক্লজের টুপি, জপমালা, ক্রিসমাস ট্রি, যিশুমরিয়মযোসেফের মূর্তিসহ নানা জিনিস বিক্রি হচ্ছে। রাজধানী ঢাকার বড়ো বড়ো হোটেলহোটেল সোনারগাঁও, র্যাডিসন, অস্টিনসহ অভিজাত হোটেল আলোকসজ্জায় সজ্জিত করেছে। বড়দিনে এসব হোটেলে শিশুদের জন্য রয়েছে ক্রিসমাস কিডস পার্টিসহ নানা ধরনের খেলার আয়োজন।

প্রধান আকর্ষণ হিসেবে সান্তা ক্লজ আসছেন নানা উপহার ও চমক নিয়ে। প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস গাছ ও রঙিন বাতি দিয়ে। সেখানে শিশুদের জন্য বিভিন্ন খেলার প্রতিযোগিতা, ফ্যাশন শো, জাদু প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Affiliate Link Earn Money from IndiaMART Affiliate

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট