সুনিপা দত্ত : সময় অসময়ে হৃদয়ে তুফান ওঠে নিভৃতে মুহূর্ত কাটাবার।সে জঙ্গলের আসেপাশে হোক, পাহাড় কিম্বা অচেনা ঝোরা যাই হোক না কেন…. প্রকৃতিকে তো আমরা সবাই কমবেশি ভালোবাসি। কিন্তু প্রকৃতির জন্য ব্যাকুল হতে সত্যি পারি কি? যদি পারতাম তাহলে প্রকৃতির গুমরে গুমরে কেঁদে ওঠার যন্ত্রণাকে অনুভব করতে পারতাম।কিছু কথা খুব বলতে ইচ্ছে করছে,আমরা ভ্রমণপিপাসু বাঙালি উত্তরবঙ্গে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াই।চেলখোলের শান্ত স্নিগ্ধ জলের নিচে ওই পাথরের গায়ের রেখাগুলো ক’জন লক্ষ্য করি? যতটুকু সময় প্রকৃতির সংস্পর্শে থাকি শুধু নিজেদের বিভিন্ন ভঙ্গিতে ছবি তুলতে ব্যস্ত থাকি।কোলাহল, পানীয় সব কিছুর ভেতরে খেয়াল করি না একটি খঞ্জনা পাথরের ওপর আপন মনে নেচে চলেছে। খেয়াল করি না দূরের পাহাড়ের মোহময় রূপকে।জলের অপূর্ব সমূদ্র সবুজ রং এর মোহিনী রূপকেও হারিয়ে ফেলি বাহারি পোশাক আর স্যোসাল মিডিয়ায় স্টেটাসের মধ্যে।
চলেছিলাম চা বাগান আর পাহাড়ি চড়াই উতরাই পথ ধরে। ঠাণ্ডা বাতাস রোদ ঝলমলে আকাশ নিয়ে ইচ্ছে মনের সঙ্গে পাক খেতে খেতে উঠছি ওপরে।পাপড়খেতি চলে এল সে পথের মাঝখানে।সরু নদী কুল্ কুল্ করে বয়ে চলেছে। চারিদিকে পাহাড়,শান্তির এক বাতাবরণ…. হঠাৎ দানবের মত কয়েকটি গাড়ি চলে এল।নামল পর্যটক।নেমেই সামনের বড় পাথরে উঠে হৈ হৈ করে ছবি তুলতে লাগল। মুহূর্তে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ কোন অতলে তলিয়ে গেল। প্রকৃতির উচ্ছ্বল হাসিমুখে দেখলাম আবার যন্ত্রণার ছায়া। কি অদ্ভুত কোনও এক গাড়ি থেকে ভেসে আসছে গান “এ কোন সকাল রাতের চেয়েও অন্ধকার”…. সত্যি তো তাই।আমাদের আনন্দ উচ্ছ্বাস এই অকৃপণ উদার সৌন্দর্যকে বিঘ্নিত করছে প্লাস্টিক,মদের বোতল উপকরণের মধ্যে দিয়ে।
বর্ষায় ধস নামার ফলে খানিকটা খারাপ রাস্তা পেরিয়ে পাইনের জঙ্গলের মাঝখান দিয়ে যাচ্ছিলাম।দুধারের ঝোপঝাড়,গাছে শীতকালে বড্ড ধুলো জমে যায়।তাই শীতের সময় নিয়ম অনুযায়ী চারিদিকে রুক্ষতার চিহ্ন স্পষ্ট। তবুও সুন্দর এ প্রকৃতি। পৌঁছে গেলাম লাভা মনাস্ট্রিতে।মনাস্ট্রির গেট পেরোতেই হিমেল হাওয়া ছেঁকে ধরল আমাদের। বাঁ দিকে তাকাতেই মনে জলতরঙ্গ বেজে উঠল।হালকা সোনালী রঙের কাঞ্চনজঙ্ঘা ঝলমল করছে। কিন্তু মন ভরে দেখতে পারছি না। ছুঁতে পারছি না।এত ভিড়,এত সোরগোল,এত ক্যামেরা, মোবাইল…..আমিও তো বাদ নই। ঝাঁকের কই ঝাঁকে মিশে গেছি। লাভার ভিউ পয়েন্ট থেকে শুধু কাঞ্চনজঙ্ঘার দিকে মনপ্রাণ ভরে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকব এমন মন কি সত্যি আছে?তার চেয়ে ছবি তুললে কাজে দেবে….মনাস্ট্রির ভিতরে দোকানে দরদাম করে জিনিস কিনলে কাজে দেবে। আপনারা হয়তো ভাববেন আমিও তো ছবি তুলে পোস্ট করে বাহবা নিচ্ছি। হ্যাঁ নিচ্ছি তো…আসলে ছবি তুলব অবশ্যই। কিন্তু কিভাবে, কতখানি তার হিসেব যে থাকে না।হিমেল হাওয়ায় ঠক ঠক করে কাঁপতে কাঁপতে কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ বদল দেখা বা মেঘের আড়াল থেকে তার উঁকি দেওয়া দেখি কজন?মন ক্যামেরায় সে রূপকে বন্দী করি কজন?…. উত্তর নেই এই সময়ে বদলে যাওয়া মনের কাছে। প্রকৃতি তাই তো অভিমান করে থেকে থেকে…. বুঝতে পারি না তার ভাষা।
৩০.১২.১৯।চেলখোল,পাপড়খেতি,লাভা।
রাজভবনের এক কর্মীর অভিযোগ হেয়ার স্ট্রিট থানায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। রাজভবনে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে…
সামাজিক বার্তা, পরিবেশ বার্তা। নিজের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে নিজে রক্তদান করলেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী…
রাজনীতির সময়ে অনেক সময় আসে যখন সাধারণভাবে একজন রাজনৈতিক কর্মীর কাছে এক পদ দিয়ে দেওয়া…
তিনি ভারতীয় তামিল চলচ্চিত্রের মহাতারকা রজনীকান্ত। শুধু তামিল ভাষাতেই হিন্দি, তেলেগু, কন্নড় ও ইংরেজি ভাষার…
কলকাতার নির্মাতা অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী পরিচালিত ‘কড়ক সিং’ নামের হিন্দি ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয়েছে বাংলাদেশী…
বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রা তার আর্থিক মুদ্রার এক ধারালো নিয়ে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তি…