বিধ্বংসী আগুন লাগার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল ভাঙ্গড়ের পোলেরহাটে


বৃহস্পতিবার,২০/০২/২০২০
850

বাংলা এক্সপ্রেস ডিজিটাল ডেস্ক ; ---

ভাঙ্গড়ঃ ভোররাতে বিধ্বংসী আগুন লাগল ভাঙ্গরের পোলেরহাট বাজারে ভারতী হার্ড ওয়ার্সের গোডাউনে। আগুন জ্বলতে দেখার পর স্বাভাবিক ভাবে রীতিমত আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয় এলাকাবাসীদের মধ্যে। অতঃপর আগুন জ্বলতে দেখার পর স্থানীয়রা নিকটবর্তী কাশীপুর থানায় যোগাযোগ করে, মুহুর্তের মধ্যেই ঘটনাস্থলে আসে কাশীপুর থানার পুলিশ।সাথে সাথে দমকল বিভাগে খবর পাঠানো হয় প্রথমে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স ফায়ার স্টেশন থেকে একটি ও বিধাননগর থেকে দুই দমকলের ইঞ্জিন আসে ।

কিন্তু আগুনের ভয়াবহতা তীব্র হওয়ায় প্রগতি ময়দান ফায়ার স্টেশন থেকে এক এক করে আরও চারটি ইঞ্জিন আসে ।বেশ কয়েক ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে দমকল বাহিনী। কিন্ত কি কারনে আগুন লাগল? বা কিভাবে আগুন লাগল সে বিষয়ে এখনো স্পষ্ট ভাবে কিছু জানায়নি দমকল বাহিনী।

অনেকের মতে মুলত শর্ট সার্কিট থেকে লাগতে পারে এই আগুন এছাড়া তাদের অনুমান কার্বাইড, প্লাস্টিকের দড়ি থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে যার ফলে তা মুহুর্তের মধ্যে বিধ্বংসী আকার নেয়। দমকল বিভাগের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে ভোররাতে প্রায় তিনটে থেকে সাড়ে তিনটে নাগাদ এই আগুন লাগে ,খবর পাওয়ার সাথে সাথে দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছায়। এছাড়া তাদের টিম সরাসরি দমকল ইঞ্জিনের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার কাজ শুরু করে।

তাদের কথায় সঠিক সময়ে খবর না পৌঁছালে এই আগুন বিভীষিকার আকার নিতে পারত সাথে ক্ষতিগ্রস্থ হত পোলেরহাট বাজারের বাকী দোকানগুলি। কিন্ত যথা সময়ে উপস্থিত হওয়ার ফলে আগুনের মোকাবিলা করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি পোলেরহাট বাজারে অন্যতম প্রাচীন ও পুরানো গোডাউন হিসাবে পরিচিত ভারতী হার্ড ওয়ার্স। এলাকা ছাড়াও বহু দূর দুরান্ত থেকে মানুষ নিত্য প্রয়োজনে ছুটে আসেন এই দোকানে। সাত সকালে নিজের দোকানে আগুন লাগার খবর পেয়ে স্বাভাবিক ভাবে চমকে ওঠেন বাদল ভারতী মহাশয়। নিজের চোখের সামনে দোকান জ্বলতে দেখে স্বাভাবিক ভাবে ভেঙ্গে পরেন তিনি।

 

 

এছাড়া এরপর তার পরিবারের তরফ থেকে তার ছেলে বিধান ভারতী ঘটনাস্থলে আসেন এবং কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। গোডাউনে প্রচুর হার্ড ওয়ার্সের প্রচুর মাল মজুত ছিল আর আগুন লাগার ফলে তার প্রায় শীর্ষ ভাগ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। প্রাথমিক এই ধাক্কা সামলানো রীতিমত কঠিন হয়ে পরে তার কাছে। পাশপাশি এই ঘটনার পর শোকস্তব্ধ গোটা ভারতী পরিবার। স্বপ্নেও এমন ঘটনা কল্পনা করতে পারেনি কেউই। কিন্ত শেষ পর্যন্ত দমকল বাহিনীর তৎপরতায় অবশেষে নিয়ন্ত্রনে আসে আগুন।

 

এলাকাবাসীদের অভিমত পুলিশ ও প্রশাসনের তৎপরতার কারনে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়েছে। তা না হলে এই আগুন আরও ভয়ঙ্কর আকার নিতে পারত। সবমিলিয়ে পুলিশ ও প্রশাসন ও দমকল বাহিনীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ স্থানীয়রা।

Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট