পরিযায়ী শ্রমিকের হাতধরে শালবনীতে প্রবেশ করলো করোনা, গ্রাম গন্ডিবদ্ধ করলো পুলিশ,আতঙ্কে স্থানীয়রা


বৃহস্পতিবার,০৪/০৬/২০২০
594

পশ্চিম মেদিনীপুর:-জঙ্গলঘেরা এক ছোটো গ্রাম ভুলা। সেই গ্রামেরই এক পরিযায়ী শ্রমিকের হাতধরে করোনা আক্রান্তের তালিকায় না লিখিয়ে ফেললো শালবনী। পুলিশের তরফ থেকে গন্ডিবদ্ধ করা হোল করোনা আক্রান্তের ওই গ্রামকে। আর এই ঘটনার সাথে সাথেই ইতিমধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।

শালবনী ব্লকের দেবগ্রাম -১ নং অঞ্চলের ভুলা গ্রাম। প্রায় পঞ্চাশ ষাটটি পরিবারের বাস এই গ্রামে। গ্রামে সেই ধরনের সুযোগ সুবিধা না থাকায় গ্রামের বেশ কিছু সোনার কাজের জন্য পাড়ি দেয় মহারাষ্ট্রে।

ভুলা গ্রামের আক্রান্ত বছর কুড়ির ওই যুবকও মহারাষ্ট্রে সোনার কাজ করতো। করোনার কারনে লকডাউন জারি হতেই বন্ধ হয়ে পড়ে কাজ৷ কিন্তু গণপরিবহন ব্যাবস্থা বন্ধ থাকায় তাকে সেখানেই রয়ে যেতে হয়। তারপর হত ২২ শে মে জ্বর তৎসহ করোনার কিছু উপসর্গ নিয়ে গ্রামে ফিরে। তারপরই প্রশাসনের এবং গ্রামবাসীদের কথা মতো গ্রামের এক বিদ্যালয়ে কোয়ারেন্টাইনে ছিল। কিন্তু সেখানে থাকতে থাকতেই আরো অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ২৪ শে জুন পুলিশ তাকে করোনা হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। তারপর সেখানে তার লালরস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল৷ সেই পরীক্ষার ফলাফল এদিন পজিটিভ আসার সাথে সাথেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।

এদিকে আক্রান্ত ওই যুবকের গ্রামকে শালবনী থানা ও পিড়াকাটা পুলিশ পোস্টের দুই আইসি’র নেতৃত্বে বিশাল বাহিনী গিয়ে ওই এলাকা কনটেইনমেন্ট জোন বা গন্ডীবদ্ধ এলাকা হিসেবে ঘিরে দেওয়া হয় । কনটেইনমেন্ট জোনের বাইরে বাফার জোনও করে দেওয়া হয়েছে।প্রশাসনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গ্রামবাসীদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য। পাশাপাশি এই গ্রামে বাইরের কেউ যাতায়াত করতে পারবেন না। গ্রামবাসীদের কোনো কিছু প্রয়োজন হলে তা মিটাবে পুলিশ।

Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট