করোনা থেকে আম্ফান এই দুইয়ে বিধ্বস্ত বাংলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের তরফ থেকে এই দুই এর পরিস্থিতি কাটিয়ে তোলার আপ্রাণ প্রয়াস চালানো হয়। তবে রাজ্য সরকার যে প্রয়াসই গ্রহণ করুক না কেন ত্রিফলায় আক্রান্ত হতে হচ্ছে বারেবারে।
বিরোধী বিজেপি থেকে শুরু করে বাম ও কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনায় সরব। সিপিএম বিজেপি এবং কংগ্রেস এই অভিযোগ করার ক্ষেত্রে একে অপরের দোসর হয়ে উঠেছে এমনটাই অভিযোগ তৃণমূল নেতৃত্বের। বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আগেভাগে পরিকল্পনা গ্রহণ না করায় আমফান মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে সরকার। পাশাপাশি করোনা প্রতিরোধে লকডাউন এরাজ্যে মানা হয়নি বলেও বারবার অভিযোগ করা হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিলেন কলকাতা পৌরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের প্রধান তথা রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার আগেভাগে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল বলেই সাধারণ মানুষ এত বড় ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষা পেয়েছেন।
এত দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বলতে গিয়ে এদিন ফিরাদ হাকিম বলেন লকডাউন সম্পূর্ণভাবেই মানা হয়েছিল। কিছু মানুষ তা মানছিল না বলেই পুলিশ রাস্তায় নেমেছিল। এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম আরো বলেন পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন মানা হয়েছিল বলেই গুজরাটের থেকে পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কম। পশ্চিমবঙ্গের থেকে ছোট রাজ্য হয়েও গুজরাটে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। এবিষয়ে বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন যারা বিরোধিতা করছে তাদের কাজ বিরোধিতা করা।
কেন্দ্রীয় সরকার আমফান মোকাবিলায় যে অর্থ দেবে বলেছিল তা কেন দিচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি বলেন কেন্দ্রীয় সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য যে অর্থ দেবে বলেছিল তা আগে দিক। তাহলে সাধারন মানুষকে স্বাভাবিক অবস্থায় আরো সহজেই ফিরিয়ে আনা যাবে।
Auto Amazon Links: No products found.