ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা: করোনাভাইরাসের কারণে শুরু হওয়া লকডাউনের কারণে গত এপ্রিল মাস থেকে ১.৮ কোটিরও বেশি বেতনভুক কর্মচারী চাকরি হারিয়েছেন। শুধু জুলাইতেই বেকার হয়েছেন প্রায় ৫০ লাখ বেতনভুক কর্মী। করোনাভাইরাসের থাবা কী ভাবে দেশে বেকারত্বের হার বাড়িয়েছে, তারই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করল সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি। তারা জানিয়েছে, অতিমারীর কারণে শুরু হওয়া লকডাউনের জেরে গত এপ্রিল মাস থেকে ১.৮ কোটিরও বেশি বেতনভুক কর্মচারী চাকরি হারিয়েছেন। এর মধ্যে শুধু জুলাই মাসেই বেকার হয়েছেন প্রায় ৫০ লাখ বেতনভুক কর্মী। করোনাভাইরাসের কারণে ২০২০ সালের গোটাটাই প্রবল আর্থিক সংকটের মুখে পড়বে। অর্থনীতিবিদদের এই হুঁশিয়ারি আগেই ছিল। তারই মধ্যে এ বার ঈগওঊ প্রকাশ্যে আনল চমকে দেওয়ার মতো এক তথ্য। তাদের সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলা হয়েছে গত কয়েকমাসে যে ভাবে সংগঠিত ক্ষেত্রেও মানুষ কাজ হারিয়েছে, তাতে মুখ থুবড়ে পড়া অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো আরও কষ্টকর হয়ে পড়বে। ভারতে যাবতীয় কর্মসংস্থানের ২১ শতাংশ হল বেতনভুক কর্মচারী। অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের থেকে যে সংখ্যাটা অনেকটাই কম।
তবে অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মসংস্থানের থেকে দেশের আর্থিক বৃদ্ধিতে অনেক বেশি অবদান রাখে বেতনভুক চাকরি। এপ্রিল থেকেই বেতনভুক কর্মচারীদের রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে। সে মাসেই চাকরি যায় ১৭.৭ মিলিয়ন কর্মীর। তবে জুনে আরও ৩.৯ মিলিয়ন অতিরিক্ত কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা হয়। তবে তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। জুলাই মাসে কাজ হারান ৫০ লাখেরও বেশি কর্মী। ঈগওঊ–র তথ্য বলছে, লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই বেতনভুক কর্মীদের এমন দুর্দশা শুরু হয়েছে। অর্থনীতিবিদ তথা বিএমএল মুঞ্জল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ম্যানেজমেন্টের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর অনুশ্রী পাল বলেছেন, ‘অতিমারী ও তার পরের লকডাউনে তাত্পর্যপূর্ণভাবে গ্রাম ও শহরের কর্মসংস্থানের সুযোগের খামতি বেড়েছে। লকডাউনের সময় অর্থনীতির চাহিদা অনুযায়ী বেতনভুক কর্মীদের উপর খুব খারাপ প্রভাব পড়েছে। আনলকিং–এর সময়ও কর্মসংস্থান ফিরে পাওয়ার প্রক্রিয়া খুবই মন্থর।
গত মাসে সরকার ইনসেনটিভ ঘোষণা করায় গ্রামীণ ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের কাজে কিছুটা উন্নতি দেখা গিয়েছে।‘ এ দিকে, মোটে দু দিন গ্রাফটা একটু নীচের দিকে নেমেছিল। তাতেই আশায় বুক বেঁধেছিল দেশবাসী। তবে সেই আনন্দ বজায় থাকল খুবই স্বল্প সময়। আবারও দেশে একদিনে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪ হাজার ছাড়িয়ে গেল। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুও হাজারের বেশি। সবমিলিয়ে উদ্বেগ যে এখনই পিছু ছাড়ছে না, তারই ইঙ্গিত মিলল ১৯ আগস্ট বুধবার। প্রকাশিত মেডিক্যাল বুলেটিনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৪,৫৩১ জনের শরীরে মিলেছে করোনাভাইরাস। নয়া সংক্রমণে মোট আক্রান্তের সংখ্য়া হয়েছে ২৭,৬৭,২৭৪ জন। এখনও চিকিত্সাধীন রয়েছেন ৬,৭৬,৫১৪ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০,৩৭,৮৭১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬০,০৯১ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে সুস্থতার হার ৭৩.৬৪%। মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫২,৮৮৯। মৃতের হার ১.৯১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৮,১০,৫১৮ জনের কোভিড পরীক্ষা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
২৪ এর লোকসভা ভোটে রাজ্যে অন্যতম ইস্যু হয়ে উঠেছে সিএএ। বিজেপির পক্ষ থেকে এই নিয়ে…
সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে এবার নয়া মোড়। সন্দেশখালি আন্দোলন থেকে শুরু করে যা যা ঘটেছে সম্পূর্ণটাই…
বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে দলবিরোধী কথা বলছিলেন। বিশেষ করে…
বিজেপির বিজ্ঞাপনে 'ধর্ম' হাতিয়ার, নির্বাচন কমিশনের নজরে আনল তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকায় স্পষ্ট…
বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি হয়েছে বলে মিথ্যে রটনা শুরু হয়েছে। বিগত বছরে এমন কোন মাশুল বৃদ্ধি…
হেলিকপ্টারে হঠাৎ আগুন। বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পান অভিনেতা তথা তৃণমূল প্রার্থী দেব। তবে…