বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে একতা সভার আহবান


সোমবার,০৯/১১/২০২০
844

কলকাতা: বাংলা সংস্কৃতিতে হিন্দু-মুসলমানে কোন বিরোধ নেই, আছে ঐক্যের বাঁধন, আছে সম্প্রীতির বন্ধন। দুর্গাপুজো, ঈদ, দিওয়ালি কিংবা ছট পুজো – সকলে একসঙ্গে থাকতাম। এটাই বাংলার চিরকালীন ট্র্যাডিশন। কিন্তু সেই সম্প্রীতিকে ভেঙে দেওয়ার একটা চক্রান্ত শুরু হয়েছে। মন্দির-মসজিদ নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। যা খুবই দুঃখজনক। হিউম্যান রাইটস প্রটেকশন অ্যাসোসিয়েশনের কলকাতা জেলা কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানালেন সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি শামিম আহমেদ। কলকাতায় সংগঠনের সদর কার্যালয়ে আয়োজিত এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে একতা সভা আয়োজনের। রাজ্যে কিংবা দেশে যেভাবে হিন্দু-মুসলমানের সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা চলছে তা প্রতিহত করতে এই একতা সভার ভাবনা। জানালেন শামিম আহমেদ। তিনি বলেন, গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ওই একতা সভায় সর্বধর্মের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। সকল ধর্মের ধর্মগুরুদের উপস্থিতিতে শপথ নেওয়া হবে ভারতের চিরকালীন হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতি-ঐক্যকে রক্ষা করার। দীর্ঘদিন ধরে হিউম্যান রাইটস প্রটেকশন অ্যাসোসিয়েশন দেশজুড়ে মানুষের মানবিক অধিকার রক্ষায় আন্দোলন চালিয়ে আসছে। দুঃস্থ দরিদ্র মানুষদের বিনা খরচে আইনি পরিষেবা দেওয়ার মতো কাজে নিযুক্ত এই সংগঠন। কলকাতা মহানগরীর ১০০ টিরও বেশি ওয়ার্ডে সংগঠনের কমিটি রয়েছে। কলকাতা জেলা কমিটির বৈঠকে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকেই সংগঠনের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেছিলেন।

এদিনের সভা থেকে বাংলার সংস্কৃতি রক্ষার ডাক দেন হিউম্যান রাইটস প্রটেকশন অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষ নেতৃত্ব। বাংলার চিরাচরিত ঐতিহ্যকে বাঁচানোর আহ্বান জানানো হয়। যারা বাংলার ঐতিহ্যকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোরও আহ্বান করেন তাঁরা। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে একতা স্থাপনের লক্ষ্যে গোটা দেশে বিভিন্ন রকমের কর্মসূচি পালন করে চলেছে এই মানবাধিকার সংগঠন। শামিম আহমেদের নেতৃত্বে গত ২০ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গরীব দুঃস্থ দরিদ্র মানুষের স্বার্থে লড়াই চলছে।

সংগঠনের সর্বভারতীয় নেতা শামিম আহমেদ বলেন, দেশের সর্বত্রই ছড়িয়ে আছে তাদের সংগঠনের সদস্য। এদিনের সভায় সর্বভারতীয় সভাপতি শামিম আহমেদ ছাড়াও সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ডাঃ আক্তারুজ্জামান মোল্লা এবং ফরিদ খানের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য।

বিজ্ঞাপন : এখানে বিজ্ঞাপন দিতে , যোগাযোগ : 9733377444

Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট