ঝাড়গ্রাম:-সকালে শুভেন্দু অধিকারী নেতাই গিয়েছিলেন ২০১১-র ঘটনায় সেখানকার নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এদিকে সেই কর্মসূচির পরেই সেখানে যান তৃণমূলের নেতারা। সেই দলের ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় , মদন মিত্রের, সৌমেন মহাপাত্র, শ্যামল মাহাতো, ছত্রধর মাহাতো র মতো নেতারা। মদন মিত্র নেতায়ের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেন।
এদিন লালগড়ের এক সভামঞ্চে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মদন মিত্র বলেন, যুধিষ্ঠির সত্যবাদী ছিলেন। তবুও তাকে নরক দর্শন করতে হয়েছিল অল্প মিথ্যে কথা বলার জন্য। এদিকে নিতাই এবং নন্দীগ্রাম আন্দোলন নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী মিথ্যার পর মিথ্যা বলে যাচ্ছেন। মদন জানাচ্ছেন, নেতাই এবং নন্দীগ্রামের আন্দোলনের জন্য নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসেননি, এসেছিলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব, তেমনটাই বলেছে শুভেন্দু অধিকারী। এই প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর নরকেও জায়গা হবে না! পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর কাছে তিনি অনুমতি চাইছেন মিছিল বের করার। শুভেন্দু অধিকারী যেখানে মিছিল বের করবেন সেখানেই দুটো মিছিল বের করবে তৃণমূল কংগ্রেস। এই কথা বলেই শুভেন্দু অধিকারীকে কার্যত চ্যালেঞ্জ করে মদন মিত্র বলেন, মায়ের দুধ খেয়ে থাকলে, বাপের বেটা হলে যেন সেই মিছিলের মোকাবিলা করে! শুভেন্দু অধিকারী একাধিকবার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছেন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসকে ঘেন্না করেন। এই প্রসঙ্গ তুলেওএ দিন বিজেপি নেতাকে আক্রমণ করেন মদন মিত্র। তিনি প্রশ্ন তোলেন, শুভেন্দু অধিকারী কি নিজের বাবাকেও ঘৃণা করেন, কারণ তিনি তো এখনো তৃণমূলে রয়েছেন। অন্যদিকে তাঁর মা, তিনিও জনসমক্ষে এসে এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেননি। তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারী নিজের মাকেও ঘৃণা করেন?
এদিন মদন মিত্র দাবি করেন তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মমতার দরজায় ফিরে আসতে হবে শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতাদের। বলতে হবে পাপ করেছিলাম।
এদিন মদন মিত্র শুভেন্দু অধিকারীর নাম করে ফের বেইমান ও মীরজাফর বলে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন ২০১৪ সাল থেকে অমিত শাহের সঙ্গে পরিচয়ের কথা সে নিজেই স্বীকার করেছে। কিন্তু তার পরে এতদিন মন্ত্রী, একাধিক সংস্থার চেয়ারম্যান পদে থেকে তৃণমূলের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী তঞ্চকতা করেছেন বলে অভিযোগ করেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সংস্থার চিঠি তাঁর কাছেও আসবে। কিন্তু তাতে তিনি ভয় পান না। ভয় পান শুভেন্দু অধিকারীর মতো লোকজন। আর তাঁরা বিজেপি নেতাদের পায়ে মাথা নুইয়ে দেন।
মদন মিত্র বলেন, তিনি বিধায়ক ছিলেন, মন্ত্রী ছিলেন। যা তিনি এতদিন পেয়েছেন, তা তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। এই পরিস্থিতি তৃণমূলের সবারই, দাবি করেন তিনি। তৃণমূলের কোনও নেতা যা কিছু করেছেন তার সবই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৌলতেই বলে দাবি করেন তিনি। প্রসঙ্গত নেতাই আন্দোলনে পাশে তিনি বরাবরই আছেন বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনিই সেখানকার মানুষের পাশে থেকেছেন। যদিও তৃণমূল শিবিরের দাবি, যা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন।
এদিন মদন মিত্র দাবি করেন, সামনের বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম জেলার চারটি আসনের সবকটিই তৃণমূল পাবে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, দল যদি তাঁকে বলে তাহলে তিনি শুধু ঝাড়গ্রাম নয়, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে শুভেন্দু অধিকারীর সামনে দাঁড়িয়ে লড়াই করবেন। প্রসঙ্গত শুভেন্দু অধিকারী এর আগে বলেছিলেন, বালুমাটির শুভেন্দু আর লালমাটির দিলীপ ঘোষ মিলে অবিভক্ত মেদিনীপুরের ৩৫ টি আসনের সবকটিই বিজেপি দখল করবে। দিন কয়েক আগে খড়দহে এক সভায় মদন মিত্র দাবি করেছিলেন, নির্বাচনে ২৭০ টির বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে তৃণমূল।
Best Deals starting from 149
Best Deals on BISS products
Best Deals starting from 129
Cases and Cover starting from 119
Offers on Pet Food
Backpacks and Travel Accessories from Fur Jaden starting Rs. 299
High On Features Low on Price: Smart Watches from Gionee & More