বিজেপির সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে টালিগঞ্জ থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত সুশৃংখল মিছিলে পা মেলালেন হাজার হাজার মানুষ। বিশৃঙ্খলা তৈরি করে রাজ্যের উন্নয়নকে বাঁধা দিতে চাইছে বিজেপি, অভিযোগ তোলেন তৃণমূল নেতারা।
পরপর দু’দিন দুটো মিছিল। সোমবার বিজেপির মিছিল ঘিরে মানুষ হয়ে পড়েন ভীতসন্ত্রস্ত। আতঙ্কে ঘরে ঢুকে যান সাধারন মানুষ। লাঠিসোটা নিয়ে মিছিল থেকে বেরিয়ে এসে আক্রমণ চালান নিরীহ মানুষের ওপর। আর ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সেই টালিগঞ্জ থেকে হাজরার দিকে আরও একটি মিছিল। আয়োজনে তৃণমূল কংগ্রেস। সুশৃংখল এই মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের সমর্থন দিতে রাস্তার দু’ধারে ভিড় জমিয়েছিলেন অগণিত মানুষ। রাসবিহারী এবং টালিগঞ্জ বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে হাজার হাজার মানুষ এদিনের এই কর্মসূচিতে যোগ দেন। বিজেপির সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরব হন এই মিছিল থেকে। তৃণমূলের বর্ষিয়ান নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করে বলেন রাজ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে উন্নয়নকে থমকে দিতে চাইছে বিজেপি।
রাজ্যের আর এক মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও বিজেপির বিরুদ্ধে ছিলেন সোচ্চার। হাজরামোড়ে মিছিল যখন এসে পৌঁছায় তখন জনজোয়ার। দলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বার্তা দেন বিজেপির প্ররোচনায় পা না দেওয়ার। এদিনের এই কর্মসূচিতে দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়, দক্ষিণ কলকাতার জেলা তৃণমূল সভাপতি দেবাশীষ কুমার, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় সহ দক্ষিণ কলকাতার নেতৃবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজভবনে ওদের স্পোকসম্যান আছে, বাংলার যা ঘটবে তা নিয়ে রিপোর্ট জমা দেবার জন্য। আমরা কোন প্ররোচনায় পা দেব না। ওরা উন্নয়নকে থমকে দিতে চাইছে। তাই অশান্তি বাঁধাচ্ছে।
অরূপ বিশ্বাস বলেন, আপনারা প্রমাণ করেছেন তৃণমূল সুশৃঙ্খল পার্টি। সোমবার বিজেপি সন্ত্রাস চালিয়েছে। ওরা বাংলার সংস্কৃতি জানে না। ওরা অরাজকতার রাজনীতি, দাঙ্গার রাজনীতি করছে। সন্ত্রাস চালিয়ে বাংলার উন্নয়ন থমকে দিতে চাইছে। আগে কাউন্সিলরদের সঙ্গে লড়ুন। বাংলার মানুষের জন্য নরেন্দ্র মোদি কী করেছেন জবাব দিন? বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা করছে। বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়বো না। বাংলা মা ও মমতা মাকে রক্ষা করতে রক্ত দেব।
Auto Amazon Links: No products found.