ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা: রমজান ঘিরে বরাবরের মতো এবারও ভোক্তা ঠকানোর ফাঁদ পেতেছেন খেজুর বিক্রেতারা। তারা আমদানি করছে অস্বাস্থ্যকর ও নিম্নমানের খেজুর। পুরান ঢাকার বাদামতলী এলাকার কতিপয় অসাধু আমদানিকারক এ কাজে লিপ্ত বলে জানা গেছে। এছাড়া গত কয়েক বছর বিক্রি না হওয়া খেজুরও বিক্রির জন্য গোডাউন থেকে বের করা হয়েছে। আর এসব খেজুর চমকপ্রদ ও স্বাদ বাড়াতে মেশানো হচ্ছে মিষ্টির সিরা ও সরিষার তেল। এদিকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা খুচরা পর্যায়ে কম খেজুর সরবরাহ করে তৈরি করছে কৃত্রিম সংকট। বিক্রি করছে বাড়তি দরে। ফলে রোজার আগেই খেজুরের দাম হু হু করে বাড়ছে। ভোক্তারা বাধ্য হয়ে পণ্যটি বাড়তি দরে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। গত বছর রোজায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বাদামতলীর বিভিন্ন আড়তে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নিম্নমানের খেজুর জব্দ করেন। সে সময় দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হয়। তারপরও এ বছর গোপনে অসাধুরা বেশি লাভের আশায় নিম্নমানের খেজুর এনেছে ও আনছে। পাশাপাশি বাড়িয়ে দিয়েছে দাম। ১৮ মার্চ পুরান ঢাকার ফলের আড়ত বাদামতলী সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন দেশ থেকে নিম্নমানের খেজুর আমদানি করে বস্তা ভরে থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এসব খেজুরের বস্তার গা ভেজা ও স্যাঁতসেতে।
বস্তায় নেই কোনো মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ। এছাড়া এ নিম্নমানের খেজুরগুলোর স্বাদ ও চকচকা করতে মিষ্টির সিরা ও সরিষার তেল মেশানো হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা এসব খেজুর কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, রমজান উপলক্ষ্যে বাজার তদারকি ও অভিযান শুরু হয়েছে। নিত্যপণ্যের বাজার থেকে শুরু করে ফলের আড়তে অভিযান পরিচালনা করা হবে। গোপনে কেউ যদি অস্বাস্থ্যকর খেজুর আমদানি বা বিক্রি করে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি খেজুর জব্দ করে ধ্বংস করা হবে। রমজান মাসের জন্য বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে খেজুর সরবরাহ থাকলেও বেশি মুনাফার আশায় খেজুরের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে পাইকারি ব্যবসায়ীরা। ইতোমধ্যে তারা সাধারণ মানের খেজুর পাইকারি পর্যায়ে কেজিতে ১৫০-২০০ টাকা বাড়িয়েছে। এখন খুচরা বাজারে সাধারণ মানের খেজুর কেজি ৫৫০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ দাম বাড়ার চিত্র সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ টিসিবির দৈনিক বাজার মূল্যে লক্ষ্য করা গেছে। টিসিবি বলছে, গত বছর এ সময় প্রতি কেজি সাধারণ মানের খেজুর বিক্রি হয়েছে ২৫০ টাকা। আর এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা। সেক্ষেত্রে বছরের ব্যবধানে প্রতি কেজি খেজুরের দাম ৪৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়েছে।
রাজধানীর গুলিস্তান বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে ও পল্টনসহ বেশ কয়েক জায়গায় খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি কেজি মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা। যা গত বছর বিক্রি হয়েছে ৪৫০ টাকা। গাছ পাকা মরিয়ম বিক্রি করছে ৮০০ টাকা। যা গত বছর বিক্রেতারা ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি করেছে। আরব আমিরাতের বরই খেজুর বিভিন্ন মান ভেদে বিক্রি হচ্ছে। ভালোমানের বরই খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। যা গত বছর একই সময় বিক্রি হয়েছে ২৫০-৩০০ টাকা। বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে খেজুর বিক্রেতা হাবিবুল্লাহ বলেন, গত বছরের তুলনায় এবারের খেজুরের দাম বেশি। আড়তদাররা বেশি দামে খেজুর বিক্রি করছে। পাইকারি বিক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি দামে খেজুর আনতে হয় তাই আমাদেরও বেশি দামে খেজুর বিক্রি করতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আড়তদাররা এবার সিন্ডিকেট করে খুচরা পর্যায়ে খেজুর কম ছাড়ছে। বাজারে খেজুরের সংকট দেখিয়ে দামও বাড়িয়েছে পাইকারি আড়তদাররা। একই স্থানে খেজুর ক্রয় করতে আসা জাহিদ হোসেন বলেন, সামনে রমজান মাস। তাই খেজুরের দাম জানার জন্য দাঁড়িয়েছি। কিন্তু এবার মনে হচ্ছে গত বছরের তুলনায় দাম তুলনামূলক বেশি। প্রতি রমজান এলেই বিক্রেতারা পাল্লা দিয়ে রমজানের সবকটি পণ্যের দাম বাড়ায়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। বাদামতলীর মেসার্স ছায়েম এন্টরপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, এবার খেজুরের দাম গত বছরের তুলনায় একটু বেশি। আড়তে এখনো বেশি পরিমাণে খেজুর ওঠেনি। সব রকমের খেজুর আসতে আরও এক সপ্তাহের মতো সময় লাগবে। আড়তে পর্যাপ্ত পরিমাণে খেজুর আসলে দাম কমতে পারে।
Best Deals starting from 149
Best Deals on BISS products
Best Deals starting from 129
Cases and Cover starting from 119
Offers on Pet Food
Backpacks and Travel Accessories from Fur Jaden starting Rs. 299
High On Features Low on Price: Smart Watches from Gionee & More