না পাঠানো চিঠি : সংহিতা


সোমবার,১২/০৪/২০২১
4713

এই দালানগুলো বড্ড একঘেয়েমি লাগে আমার। আচ্ছা, আমরা একটা মাটির ঘর খরের চালা দেওয়া বানাতে পারি না? আমি আলপনা দেবো মনের সুখে। সামনে একটা দোলনা দেবো চৌকাঠে। বাশ গুলো একটু মজবুত এন। ..তুমি আমি মিলে অনেকগুলো জ্যোৎস্না একসাথে কাটাবো, তোমার যদিও অমাবস্যার আকাশে তারা দেখা পছন্দ। ওটাও না হয় দেখব! দৈনন্দিন জীবনের ডালভাত,চাকরি,জীবনের ওঠানামা গুলোতে তোমায় পেলাম না তো কি!! একসাথে তারা দেখাতো হবে কখনো। ওতেই না হয় চালিয়ে দেব,বেইমান তো নই আমরা। তাই আমাদের জীবনের বাকি মানুষগুলোর সাথে সাথে নিজেদের সাথে বেইমানি করতে পারবো না। খুব কান্না পায় জানো তোমায় সারাজীবন লুকিয়ে রাখতে হবে ভেবেই। তোমার হাত সবার সামনে ধরতে পারবো না ভেবেই। তুমি আমি না হয় রাধাকৃষ্ণ হয়েই সান্তনা দিয়ে যাবো জীবনটা। পরের জন্মে এডম-ইভ্ হব দেখো। একসাথে ঝগড়াগুলো নাহয় পরের জন্যই তোলা থাক। এ জীবনে না হয় কটা বসন্ত দিলাম দুজন দুজনকে।

অফিস থেকে ফিরে তোমার ঘাম মাখা জামাগুলো এবার না হয় অন্য কেউ ধোবে। অন্য কোন স্পর্শ দুজনে বারংবার পাব! আমারও ইচ্ছে করবে তোমার ভেজা চুল মুছিয়ে দিতে কিন্তু ওই যে বারণ। এখন আমরা কিলোমিটারে দূরত্ব মাপি না আর। দূরত্ব মাপি মুহূর্তে! এই দুরত্ব যেন শেষ হতে চায় না। তবু বছরে একটি বার ভুল না হয় করব লোকের চোখে। নাহলে যে আলোকবর্ষে হারিয়ে যাব আমরা। বছরে ওই একটা রাত আমি না হয় তোমার ইভ্ হলাম। ভোটের নেতাদের মতো প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দেবো না আমরা। চুপ করে দুজন দুজনের উপস্থিতিতে হারিয়ে যাব। কিছু বলতে হবেনা তোমাকেও। নিস্তব্ধতা চোখের পলকে সব উপলব্ধি করিয়ে দিয়ে যায়। আমরা নিজেই জানি না আমরা কি চাই! তাই চাওয়া না পাওয়া নিয়ে মাথা ঘামাই না আর। যেমন চলছে চলুক না! কৃষ্ণ তো পেরেছিল এভাবে ভালবাসতে। মীরাকে তো অবহেলা করেনি। জানি তুমিও পারবে আমরা দুজনেই পারব। দেখো এ জীবনটা আনন্দে কাটিয়ে দেবো ঠিক। তোমাকে হারিয়ে ফেলার ভয়ে জীবনে ডালভাত হতে পারলাম না তোমার। তবে আর কি! পছন্দের বিরিয়ানি হয়ে মাঝে মাঝে সাথ দেবো তোমায়। তুমি ভালো থেকো,তোমার কাছের মানুষগুলো যেন কষ্ট না পায়। আমিও কথা দিলাম সবাইকে ভালো রাখবো। আর বসন্ত গুলো শুধু তুলে রাখবো তোমার জন্য। বাকি এগারোটা মাস নাহয় ওদের থাক্।

সংহিতা
Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট