বঙ্গ রাজনীতির ‘চানক্য’ তৃণমূল কংগ্রেসে উত্তেজনার পারদ বাড়িয়ে দিলো ত্রিপুরার নির্বাচনী ময়দানকে। খুব শীঘ্রই তৃণমূল সুপ্রিমো মুকুল রায়কে ত্রিপুরার সাংগঠনিক দায়িত্ব অর্পণ করবেন। এবং মুকুল রায় এসে ফের রাজ্যে চাঙ্গা করতে চাইবেন তৃণমূলকে। খবর বঙ্গ তৃণমূল ভবন সূত্রে। বঙ্গ তৃণমূলের থিঙ্ক ট্যাঙ্কের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলে টেনে এনেছেন মুকুল রায়কে। তার পেছনে ও যথেষ্ট কারণ রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন দেশের আরও কয়েকটি রাজ্যে তৃণমূলের বিস্তার ঘটাতে। তার জন্য মুকুল রায়ের মত নেতা মমতার কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। এর আগেও দেখা গেছে ত্রিপুরা ও মনিপুরে সংগঠন তৈরিতে মুকুলের জুড়ি মেলা ভার ছিল। এটা বিলক্ষণ জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মুকুলকে ট্রাম কার্ড হিসেবে ব্যবহার করে ত্রিপুরাকে মাস্টার স্ট্রোক দিতে চাইছেন মমতা। সফলতা কতটা আসবে সেটা বলবে সময়ই।
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাথমিক লক্ষ্য ত্রিপুরাতে তৃণমূল দলের শক্তি সঞ্চয় করা। তার জন্য এই মুহূর্তে মুকলই হল মমতার রাজনৈতিক ‘ঘুটি’।২০২৩ -এ ত্রিপুরাতে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। এর আগে দলকে সাংগঠনিকভাবে মজবুত করার জন্য সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করবে তৃণমূল। বিজেপিকে পরাজিত করাটাই হলো তৃণমূলের মূল লক্ষ্য।আজ ত্রিপুরার ঊনকোটি জেলার,কৈলাশহর বিধানসভা কেন্দ্রে সাত (7)পরিবারের একান্ন (51)জন ভোটার কংগ্রেস,সিপিআইএম এবং বিজেপি দল ছেড়ে সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস দলে যোগ দিলেন। উনাদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা দিয়ে বরণ করে নিলেন ঊনকোটি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অঞ্জন চক্রবর্তী,ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ সিংহা, ত্রিপুরা প্রদেশ যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জাকির হোসেন সহ অন্যান্যরা।গতকাল ও উত্তর ত্রিপুরা জেলার বাগপাসা বিধানসভা কেন্দ্রে সাত পরিবারের ৩০ জন ভোটার বিজেপি দল ছেড়ে তৃনমূল কংগ্রেস দলে যোগ দিলেন। উনাদের হাতে দলীয় পতাকা দিয়ে বরণ করে নিলেন উত্তর ত্রিপুরা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি এডভোকেট বছিট খান, প্রদেশ যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জাকির হোসেন, প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস দুই সাধারণ সম্পাদক রত্নাশ্বের নাথ, অমর জিৎ সিং এবং উত্তর ত্রিপুরা জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি রহিত ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা
Auto Amazon Links: No products found.