কাশিপুর রাজবাড়ি, পুরুলিয়া


বৃহস্পতিবার,২৫/১১/২০২১
4203

প্রিয়াঙ্কা: পুরুলিয়া জায়গাটার মধ্যেই না জানি কি আছে। পুরুলিয়া যাবি? বললেই একপায়ে রাজি। শীত,গ্রীষ্ম, বর্ষা যে কোনো সময় হোক না কেন, পুরুলিয়ার সৌন্দর্য্য নামিদামি জায়গাকেও পিছনে ফেলে। পুরুলিয়া নামটা আসলেই প্রথম মাথায় কি আসে বলুন তো? হম্ জানি জানি। পলাশ ফুল, তাই না? অথবা লাল মাটি,অথবা চরিদা গ্রাম,অথবা অযোধ্যা পাহাড়। পুরুলিয়া এমন একটা জায়গা যেখানে দেখার জিনিসের অভাব নেই। যেমন আছে অনেক গুলো পাহাড়,তেমন আছে ঝর্না। আছে ঘন গভীর শাল-পিয়াল-মহুয়ার জঙ্গল, আছে ছৌ নাচের আসর, আছে নদী আছে ঝিল, তার সাথে আছে বেশ কিছু রাজবাড়ী ও জমিদারদের বাড়ি। আছে বহু পুরোনো মন্দির,দেউল। আজ আমাদের গন্তব্য ছিল কাশিপুর রাজবাড়ী।

ছবিঃ- প্রিয়াঙ্কা

দুর্গাপুরে থাকার দরুন আমরা মটরসাইকেলে যাই, মোটামুটি ৯৫ কি.মি. রাস্তা। যারা কলকাতা বা অন্য জায়গা থেকে আসবেন,তারা আদ্রা স্টেশন থেকে গাড়ি ভাড়া করে অনায়াসেই পৌঁছে যাবেন কাশিপুর রাজবাড়ী। আমরা আগের বছর এই সময় গেছিলাম। রাজবাড়ীর ভিতর সম্পর্কে বলতে পারবো না। কারন বন্ধ থাকার দরুন ভিতরে ঢুকতে পারিনি। তবে রাজপরিবারের বংশধররা এখনো আছেন,তবে এখানে থাকেন না এবং দুর্গাপূজায় সকলেই এখানে একত্রিত হন। ও সর্বসাধারণের জন্য এই রাজবাড়ী খুলে দেওয়া হয় দুর্গাপূজার অষ্টমী ও নবমী তে। এখান থেকে আশেপাশে একদিনে আপনারা ঘুরতে পারবেন জয়চন্ডী পাহাড়,মাঠাবুরু পাহাড়, বড়ন্তি লেক। বড়ন্তিতে সুন্দর থাকার ব্যবস্থা আছে। বর্ষা উপভোগ করতে চাইলে অবশ্যই একদিন বড়ন্তি তে থাকুন। প্রকৃতির প্রেমে পরে যাবেন। এখান থেকে গড়পঞ্চকোট ও গড়পঞ্চকোট পাহাড়ও যেতে পারেন।

কোনো পরামর্শ বা এখানে আপনার লেখা প্রকাশ করতে চাইলে মেইল করুন : [email protected]

Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট