নন্দনে “হাওয়া” সিনেমা দেখতে যাওয়ার আগে সাবধান !


রবিবার,৩০/১০/২০২২
1292

নন্দনে “হাওয়া” সিনেমা দেখতে যাওয়ার আগে সাবধান ! নন্দনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত সিনেমা “হাওয়া” দেখতে এসে চরম বিশৃঙ্খলার সাক্ষী থাকলো কলকাতা সিনেমা প্রেমী দর্শক। ৪-৫ ঘন্টা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েও মেলেনি সিনেমা দেখার সুযোগ, অভিযোগের তীর বাংলাদেশ উপ হাই কমিশনের দিকে। কলকাতা নন্দন ১ এ এদিন ২ টি মাত্র শো ছিল , নন্দন ১ এর আসন সংখ্যা মোটামুটি ৯০০ , মিডিয়া থেকে আমরা বাংলাদেশ উপ হাই কমিশনের এক কর্ম কর্তার কাছে জানার চেষ্টা করি এই শো এর জন্য কোনো “কার্ড বা পাস ” এর ব্যবস্থা আছে কি না ? আমাদের জানানো হয় কোনো “কার্ড বা পাস ” এর ব্যবস্থা নেই , যিনি আগে আসবেন তিনি আগে টিকিট পাবেন। কিন্তু আমাদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে , লাইনে ৫-৬ হাজার লোক ৪-৫ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকলেও বহু সংখক মানুষ “কার্ড বা পাস ” নিয়ে লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনের সামনে থেকেই প্রবেশ করে। অনেকে অভিযোগ করেন এই “কার্ড বা পাস ” নাকি সুবিধার বিনিময়ে পাওয়া যাচ্ছে , যা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। প্রশ্ন হলো যদি আসন সংখ্যা ৯০০ হয় তাহলে তার ৫-৬ গুন সিনেমা প্রেমীদের ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখার মানে কি ? এমনকি বয়স্ক সিনেমা প্রেমীদের জন্যও আলাদা কোনো লাইন রাখা হয় নি। “বাংলাদেশ উপ হাই কমিশনের” কোনো কর্মকর্তা কি দেখেন নি এতো পরিমান মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে ? কেন আসন সংখ্যার ৫-৬ গুন বেশি সিনেমা প্রেমীদের ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখা হলো ? তবে কি “বাংলাদেশ উপ হাই কমিশন” বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর জনপ্রিয়তা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিল না ? এই ধরণের অনেক প্রশ্ন উঠছে , প্রশ্ন উঠছে “বাংলাদেশ উপ হাই কমিশনের” এই ধরণের বড়ো ইভেন্ট পরিচালনা করার যোগ্যতা নিয়ে।

প্রথমদিনে ২৯ অক্টোবর ছিল ২টি শো , যেখানে পচিমবঙ্গের দূর দুরন্ত থেকে অগণিত চঞ্চল চৌধুরী ভক্তরা এসেছিলেন “হাওয়া” সিনেমা দেখতে , যার মধ্যে ভোর বেলা থেকে যারা খাওয়া দাওয়া ভুলে ৫-৬ ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন , কিছু সংখ্যক সৌভাগ্যবানেরা এদিন দেখতে পেয়েছেন সিনেমাটি কিন্তু অনেক বেশি সংখক চঞ্চল ভক্তকে বাড়ী ফিরতে হয় ভাঙা মন নিয়ে ! তবে প্রশংসা করতে হয় কলকাতা পুলিশকে , যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন।

বিস্তারিত জানতে দেখুন আমাদের এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট।

Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট