ভোট পর্ব শেষ হয়েছে। স্তিমিত রাজনৈতিক উত্তাপ। এখন একটাই চর্চা কে বসছে ত্রিপুরার কুর্সিতে? ত্রিপুরায় আগামী পাঁচ বছর কাদের দখলে থাকবে ছোট্ট এই পাহাড়ি রাজ্যের ক্ষমতা? পরিবর্তন নাকি প্রত্যাবর্তন? উত্তর মিলবে আগামী ২ মার্চ। প্রথমবার বিধানসভা ভোটে অংশ নিয়ে যথেষ্টই প্রভাব ফেলবে তারা, প্রত্যাশা করছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
ইঙ্গিত! ত্রিপুরায় ভোট পর্ব মিটেছে। নির্বাচন ঘিরে যে রাজনৈতিক পরদ চড়ছিল তা আপাতত স্থিমিত। এখন রাজ্যের সর্বত্রই আলোচনায় একটিই বিষয় – আগামী পাঁচ বছরে ত্রিপুরার মসনদে কে বসছে? বিজেপি কি দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরবে? নাকি পরিবর্তন আসবে ত্রিপুরায়। ত্রিপুরা রাজনীতিতে বাম-কংগ্রেস জোট এই প্রথমবার। বিজেপির উত্থানের আগে যারা একে অপরের প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল। সেই বাম-কংগ্রেসের জোট বাধার রসায়নকে ত্রিপুরার সাধারণ মানুষ কতটা মেনে নিলেন? প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে নেমে তৃণমূল কংগ্রেস কতটা প্রভাব ফেলতে পারবে? তিপরামথা পার্টির ফলাফল বা কি হবে? এইসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে আগামী ২ মার্চ। ত্রিপুরার ভোট ভাগ্য এখন ইভিএমে বন্দী রয়েছে। তবে ভোটের ফলাফল নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ও আত্মবিশ্বাসী বিরোধী বাম কংগ্রেস-জোটের নেতারা। এবার ত্রিপুরায় পালা বদল ঘটবেই ,এমনটা মনে করছেন ত্রিপুরা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মন্ডলী সদস্য পবিত্র কর। আশাবাদী কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মনও। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর তেমন আত্মবিশ্বাস দেখা যায়নি বিজেপি নেতাদের গলায়। তবে বিজেপি দাবি করেছে ত্রিপুরার মানুষ তাদেরকেই সমর্থন জানিয়েছে। ২০১৮ র বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় ৯০ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়েছিল। এবারও ভোটের হার যথেষ্টই। ভোটের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরও লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোট দিয়েছেন ত্রিপুরার মানুষ। বিরোধীদের আশা প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভোট দিতেই মানুষ দীর্ঘ লাইনে থেকে শেষ পর্যন্ত ভোট দিয়েছেন । তৃণমূল কংগ্রেস এবার যথেষ্টই প্রভাব ফেলেছে ত্রিপুরার ভোট যুদ্ধে। বিজেপিকে ভোট দিতে চান না আবার বাম কংগ্রেসকে ভোট দিতে চান না এমন ভোটাররা তৃণমূলকেই সমর্থন করেছে বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এবারের ভোটে যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে তিপ্রা মাথা। ত্রিপুরার রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেস ও তিপ্রামথার উত্থান আদতে বিজেপিকেই বিপদে ফেলবে – মনে করছে রাজনৈতিক ওয়াকিবহালমহল।
ত্রিপুরায় পরিবর্তনের ইঙ্গিত!
বৃহস্পতিবার,২৩/০২/২০২৩
492