পারিজাত মোল্লা, মঙ্গলকোট : “বাড়ী আমার ভাঙন ধরা অজয় নদের বাঁকে, জল যেখানে সোহাগ করে স্থল কে ঘিরে রাখে”। পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের কবিতার এই দুটি লাইন আপামর বাঙালির আট থেকে আশি জানে।পল্লিকবির বসত ভিটে মধুকর প্রাঙ্গণে প্রতিবছর ৩ রা মার্চ কুমুদ সাহিত্য মেলার আয়োজন করে কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি। এবছরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।পল্লিকবির ১৪১ তম জন্মবার্ষিকী পালন হলো মহাসমারোহে। গত শুক্রবার সকাল দশটার দিকে কুমুদ সাহিত্য মেলার উদঘাটন করেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান শ্যামল ঘটক মহাশয়। সাহিত্য মেলায় প্রধান বক্তা হিসাবে ছিলেন রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান মমতাজ সংঘমিত্রা। পাশাপাশি প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের এজিপি আনসার মন্ডল। সমগ্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সভাপতি হিসাবে বিধান শিশু উদ্যানের সম্পাদক গৌতম তালুকদার এবং সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী বৈদূর্য ঘোষাল ছিলেন।কবিপ্রণাম, পত্রিকা – বই প্রকাশ, আবৃত্তি, সঙ্গীত পরিবেশন চলে সারাদিন ব্যাপি। কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির তরফে এবছর ‘কুমুদ সাহিত্য রত্ন’ সম্মান জানানো হয় ক্রাইম থ্রিলার লেখক ও আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় কে।প্রয়াত বিচারক মোল্লা নুরুল হোদা স্মরণে ‘নুরুল হোদা রত্ন’ সম্মান জানালো হয় কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী শীর্ষেন্দু সিংহরায় কে।সূদুর বাংলাদেশের যশোর থেকে আসা কবি কাজী নূর কে ‘হাসান আজিজুল হক রত্ন’ সম্মান জানানো হয়।সেইসাথে আইনজীবী মুকুল বিশ্বাস, পল্লব চট্টোপাধ্যায়, ছড়াকার তপন কুমার বৈরাগ্য, চিকিৎসক প্রণয় ঘোষ, সমাজসেবী বিশ্বনাথ রায়, সাংবাদিক জগন্নাথ ভৌমিক, প্রদীপ মুখোপাধ্যায় আনোয়ারুল আজীম প্রমুখজন দের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয় কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির পক্ষে। সমগ্র সভাটি পরিচালনা করেন মোল্লা শফিকুল ইসলাম দুলাল ও শ্যামলাল মকদমপুরী ।
বিশিষ্ট অতিথি হিসাবে ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী মাসুদ করীম, সিটি সেশন কোর্টের আইনজীবী অলোক কুমার দাস, মঙ্গলকোট থানার আইসি পিন্টু মুখার্জি, চিত্রপরিচালক ও সাংবাদিক ফিরোজ হোসেন,রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ,বাচিক শিল্পী অন্তরা সিংহরায় দেবীকা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। এই সাহিত্য মজলিসে প্রতিবারের মতো এবারের এসেছিলেন পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের নাতনি তথা সাহিত্যিক মহাশ্বেতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাইপো রেজাউল করিম এবং কবির নাতনি তথা বাচিক শিল্পী সোনালী কাজী এসেছিলেন । এবার এসেছিলেন রাজা রামমোহন রায় এর বংশধর ও সঙ্গীতশিল্পী ডক্টর রজত মোহন রায়। মেলা চলাকালীন দুই আন্তর্জাতিক চিত্রশিল্পী দীপঙ্কর সমাদ্দার ও বিশ্বনাথ দাস বিভিন্ন ছবি বিশেষত পল্লিকবিকে নিয়ে আঁকেন তাঁরা। শুধু পূর্ব বর্ধমান জেলা নয় পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, বীরভূম, কলকাতা, নদীয়া এমনকি বাংলাদেশের যশোর এলাকা থেকে তিন শতাধিক কবি সাহিত্যিক,সাংবাদিকরা এসেছিলেন কুমুদ সাহিত্য মেলায়। কুমুদ সাহিত্য মেলার সম্পাদক মোল্লা জসিমউদ্দিন জানান – ” পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের জন্মদিন উপলক্ষে প্রতিবছর ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের কোগ্রামে কবির বাসভবনে আমরা এই সাহিত্য মেলা করে আসছি।সরকারি সহযোগিতা পেলে আরও বড় আকারে এই মেলা করতে পারতাম”।
২৪ এর লোকসভা ভোটে রাজ্যে অন্যতম ইস্যু হয়ে উঠেছে সিএএ। বিজেপির পক্ষ থেকে এই নিয়ে…
সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে এবার নয়া মোড়। সন্দেশখালি আন্দোলন থেকে শুরু করে যা যা ঘটেছে সম্পূর্ণটাই…
বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে দলবিরোধী কথা বলছিলেন। বিশেষ করে…
বিজেপির বিজ্ঞাপনে 'ধর্ম' হাতিয়ার, নির্বাচন কমিশনের নজরে আনল তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকায় স্পষ্ট…
বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি হয়েছে বলে মিথ্যে রটনা শুরু হয়েছে। বিগত বছরে এমন কোন মাশুল বৃদ্ধি…
হেলিকপ্টারে হঠাৎ আগুন। বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পান অভিনেতা তথা তৃণমূল প্রার্থী দেব। তবে…