‘নাঙল যার জমি তার’। বাম আমলের শ্লোগান ছিল। কিন্ত বাম আমলের শেষের দিকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দল বেমালুম ভুলে গিয়েছিল সে কথা। দম্ভ আর অহঙ্কারে বুঁদ হয়ে গিয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বিমান বসুরা। জোর করে কৃষকদের জমি কেড়ে নিয়ে গড়তে চেয়েছিল গাড়ি কারখানা। যে সে জমি নয়, তিন ফসলি, চার ফসলি জমি। সিঙ্গুর, হরিপালের কৃষকরা সপাটে থাপ্পর কসিয়েছিল বামেদের চোয়ালে। ২০১১ সালে সরকারটাই উল্টে যায়। সেই থেকে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি এরাজ্যের বামেরা। আর এখন তো বিধানসভায় তারা ‘শূন্য’।
জমি আন্দোলনের সেই আঁতুরঘরে গেরুয়া বাহিনী লম্ফঝম্ফ শুরু করে ছিল। মানুষকে ভুল বোঝানো, উস্কানি দেওয়ার কাজটা সুমসৃন ভাবে চালানোর চেষ্টা করে শুভেন্দু অধিকারীরা। সফল হয়নি। গত বিধানসভা ভোটে সিঙ্গুর-হরিপাল জানিয়ে দিয়েছিল দেশ তথা বিশ্বে তারা যে দিক নির্দেশ করেছে কোন প্ররোচনা তাদের লক্ষ্য ভ্রষ্ট করতে পারবে না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তাদের যে অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস তার প্রতিফলন আরও একবার দেখাল সেখানকার বাসিন্দারা। মঙ্গলবার অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচিতে জনজোয়ার দেখা গেল। জমি আন্দোলনের আঁতুড়ঘরে অভিষেকের ট্রাক্টর মিছিলে ছিল জনস্রোত। মানুষের উন্মাদনা দেখে আপ্লুত তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। সোস্যাল মাধ্যমে অভিষেক লিখেছেন, “হুগলির কৃষক বন্ধুরা আজ আমাকে যেভাবে আপন করে নিলেন, তাতে আমি আনন্দিত, সম্মানিত এবং গর্বিত! আজ, JonoSanjogYatra-র ৪১তম দিনে হরিপালে একটি ব্যতিক্রমী, ট্রাক্টর রোড শো-এর আয়োজন করা হয়েছিল।
সংশ্লিষ্ট আয়োজনে অন্নদাতাদের সক্রিয় ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আরও একবার TrinamooleNaboJowar-এর সার্বিক সাফল্য সূচিত করল। তাতে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছিল আরও হাজার হাজার মানুষের উজ্জ্বল উপস্থিতি! তাঁরা সকলেই রোড শো চাক্ষুষ করতে এসেছিলেন।
এই বঙ্গের প্রত্যেক কৃষক আমাদের সম্পদ। তাঁদের স্বার্থরক্ষায় আমরা সদা তৎপর। কথা দিচ্ছি, ‘মানুষের পঞ্চায়েত’ গঠন করে চাষি ভাই-বোনেদের জীবনেও উন্নয়নের নব জোয়ার আনব।”